ফ্রিল্যান্সারদের স্বীকৃতি সমাজে আত্মমর্যাদা বাড়াবে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী। তারা অল্পতেই শিখে নিতে পারে। তরুণরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ভাষা শিখে নিজেরাই নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে। নিজের পায়ে দাঁড়াবে, নিজের বস নিজে হবে এবং নিজেরা কাজ করবে, আত্মমর্যাদা নিয়ে সমাজে মাথা উঁচু করে তরুণরা চলবে।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) রাতে আইসিটি খাতের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সারের ডিজিটাল আইডি কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করার পূর্বে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর আগে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ফ্রিল্যান্সারদের কোনো স্বীকৃতি না থাকায় এতোদিন নানামুখী সমস্যায় পড়তে হতো বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফ্রিল্যান্সার এটাও একটা কাজ। এটাও এক ধরনের চাকরি। কিন্তু এটা হচ্ছে নিজেই নিজের বস এবং নিজে শুধু বস না আরও অন্যকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া, অন্যের বস হওয়া। অর্থাৎ অন্যকে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া। সেই সুযোগটাও হবে।
এই কাজে সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সজিব ওয়াজেদ জয়কে শুরু থেকে বলেছি এটা করতে হবে। কিভাবে করতে হবে তুমি বল এবং সেভাবে পরামর্শ দাও। তার কাছ থেকেই পরামর্শ নিয়েছি। বলতে গেলে আসলে আমি কম্পিউটার শিখেছি সজিব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক পরিচিতির পাশাপাশি ব্যাংক লোন পেতে সহায়তা করবে এবং ক্ষমতায়নে সহযোগিতা করবে। চাকরি খোঁজার ঝামেলা আর করতে হবে না। নিজেরাই কিছু কাজ করার সাহস পাবে। এমনকি ঘরে বসে গিন্নিরাও কিছু কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবে। লেখাপড়া শিখে শুধু ঘরে বসে গিন্নিগিরি করা না, সেই সঙ্গে ফ্রিল্যান্সিং করেও অনেকে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ পাবে। এতে ছেলে-মেয়েরা যেমন মাকে কাছে পাবে, আবার সাথে সাথে মা’ও অর্থ উপার্জন করতে পারবে, কারো মুখাপেক্ষী হতে হবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকের এই উদ্যোগ সমাজে একটা স্বীকৃতি আসবে, সম্মান আসবে, অর্থ উপার্জন করতে পারবে। এমনকি আমাদের অর্থনীতিতেও বিরাট অবদান রাখবে। ছেলে-মেয়েরা বিদেশে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে ওটা তো রেমিটেন্স আকারেই বাংলাদেশে আসবে। এটাও আমাদের এখন হিসাব নিতে হবে যে কারা কত অর্থ উপার্জন করল। নিজেরাই নিবে কিন্তু হিসাবটা আমরা পাব। এই খাতে কত অর্থ উপার্জন হলো। এটাও একটা রেমিটেন্স হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়েছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। তারা (তরুণরা) আমাদের সমাজে বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছে। তারা আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।