ফেরি সংকটের কারণে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ভোগান্তি বাড়ছে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে দীর্ঘ হচ্ছে অপেক্ষমাণ যানবাহনের সারি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌ-রুট পারাপার করা হচ্ছে যাত্রীবাহী বাসগুলোকে।
আধ ঘণ্টার নৌ-রুট পার হতে ২০ থেকে ২৫ ঘণ্টার অপেক্ষা করতে হচ্ছে পণ্যবাহী সাধারণ ট্রাক চালকদের। পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকার দুইটি ট্রাক টার্মিনালে জায়গা না থাকায় ঘাটের ছয় কিলোমিটার আগেই শিবালয় থানা পুলিশ আটকে দিচ্ছে ট্রাকগুলোকে। বাস ও ছোট গাড়ির চাপ কমলে সিরিয়াল অনুযায়ী আটকে থাকা ট্রাকগুলো পারাপার করা হবে বলে জানান ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় অপেক্ষমাণ পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা চার শতাধিক। এছাড়া মহাসড়কের উথুলী এলাকায়ও অপেক্ষমাণ রয়েছে ঘাটমুখী আরও শতাধিক ট্রাক। যাত্রী ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে বাস, জরুরী পণ্যবাহী ট্রাক ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌ-রুট পারাপার করছে কর্তৃপক্ষ। যে কারণে ঘাট এলাকায় আসা মাত্রই নৌ-রুট পারাপারের সুযোগ পাচ্ছে এসব যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক সালাম হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলমুখী বাস ও ছোট গাড়ির চাপ থাকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। যাত্রী ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌ-রুট পারাপার করা হয়। যে কারণে অপেক্ষমাণ সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ঘাট এলাকায় বাস ও ছোট গাড়ির চাপ কমে গেলে সিরিয়াল অনুযায়ী ট্রাক পারাপার করা হবে।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, ঘাট এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘাটমুখী অতিরিক্ত ট্রাকগুলো উথুলী এলাকায় আটকে রাখা হচ্ছে। পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় অপেক্ষমাণ ট্রাকের সংখ্যা কমলে সিরিয়াল অনুযায়ী কিছু কিছু করে আটকে রাখা ট্রাক ঘাটে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ছোট বড় মিলে মোট ১৭টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে ছোট ফেরি শাপলা সালুক বিকল হয়ে মেরামত কারখানায় রয়েছে। যে কারণে অপেক্ষমাণ যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়া ফেরির তুলনায় যানবাহনের বাড়তি চাপ থাকায় ভোগান্তিও বাড়ছে।