টার্কি পালনে মুখে হাসি মংলা মার্মার

চট্টগ্রাম, জাতীয়

ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 23:11:24

বান্দরবান: টার্কি মুরগি পালন করে সফলতার মুখ দেখেছেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের মাস্টার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ট্রাইবেল গার্লস অর ফেন্স হোমের পরিচালক বাবু মংলা মার্মা।

সরেজমিনে গিয়ে মংলা মারমার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এতিম শিশুদের জন্য তার রয়েছে একটি আশ্রয়ণ কেন্দ্র। সেখানে রয়েছে প্রায় শতাধিক ছাত্রী। ভরণ-পোষণের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি নিজেই। সরকারের সমাজ সেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকেও মাঝে মধ্যে কিছু সহযোগিতা পেয়ে থাকেন।

মংলা মারমা তার আশ্রয়ণ কেন্দ্রটি পরিচালনার পাশাপাশি টার্কি মুরগি পালন করেন। তিনি প্রথমে দশটি ডিম ক্রয় করে দেশীয় জাতের মুরগির মাধ্যমে বাচ্চাগুলো ফুটান। পরে বাচ্চাগুলো দেশীয় জাতের মুরগির মতো পালন করেন। টার্কি মুরগিগুলো ঘাস খায়। এতে স্বাভাবিকভাবে তারা বেড়ে উঠে।

আস্তে আস্তে তার খামারে টার্কির সংখ্যাও বাড়তে থাকে। বর্তমানে তার খামারে ১০০ এর অধিক টার্কি মুরগি রয়েছে। মাত্র দশ মাসের মাথায় সফলতার মুখ দেখেছেন তিনি।

গত তিন মাস আগে প্রায় অর্ধলাখ টাকার টার্কি বিক্রি করেছেন মংলা মারমা। এরই মধ্যে এলাকায় লোকজন তার এই সফলতা দেখে প্রায় প্রতিদিনই টার্কির বাচ্চা ক্রয় করতে আসে। প্রতিটি টার্কির বাচ্চা ছয়শ থেকে সাতশ টাকা দরে বিক্রি হয়। আর প্রতি কেজি মাংসের দাম ৫০০-৬০০ টাকা। কেজি হিসেব করে প্রতিটি টার্কি বিক্রি হয়।

মংলা মার্মার স্ত্রী জানান, স্বাভাবিক মুরগির মতো ওদের চলাফেরা। ঝামেলা কম, সহজেই পোষ মানে। বিক্রি করতে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। কক্সবাজার থেকে এক হোটেল ব্যবসায়ী এসে মুরগিগুলো নিয়ে যায়। তাছাড়া মুরগিগুলো খোলা অবস্থায় পালন করা সম্ভব। সব মিলিয়ে তারা লাভ ও সফলতার মুখ দেখেছেন।

তিনি আরও জানান, আগামী ১ থেকে ২ মাসের মধ্যে লাখ টাকার টার্কি বিক্রি করা যাবে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি কিছু সহযোগিতা পান তাহলে টার্কি পালনে আরও সফলতা অর্জন করতে পারবেন তারা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর