বিশ্বব্যাপী দ্রুত বাড়ছে করোনার প্রকোপ। পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশেও বাড়ছে করোনার ঝুঁকি। প্রতিদিনের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ক্রমবর্ধমান মৃত্যু ও আক্রান্তের চিত্র। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে সামনে আরও খারাপ পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।
যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি, সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতা মান্য না করায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি ক্রমাবনতির দিকে চলেছে। কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে মানুষকে মাস্ক ব্যবহার করতে ও অহেতুক ভিড় এড়িয়ে চলতে অভ্যস্থ করা সম্ভব হচ্ছে না। তদুপরি সারা দেশে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এখনও না হওয়ায় মৃত্যু বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রোববার (২৯ নভেম্বর) আরো ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। আক্রান্ত হয়েছে আরো ১৭৮৮ জন। আগের দিন শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে ৩৬ জনের মৃত্যু নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫৮০ জনে। এর মধ্যে ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে ২২ থেকে ২৮ নভেম্বর, দেশে সংক্রমণ শুরুর ৪৮তম সপ্তাহে। এর আগের সপ্তাহে অর্থাৎ ১৫ থেকে ২১ নভেম্বর মৃত্যু হয় ১৭৭ জনের। তার আগের ৪৬তম সপ্তাহে (৮ থেকে ১৪ নভেম্বর) মৃত্যু হয়েছিল ১২৪ জনের।
এই হিসাবে ৪৬তম সপ্তাহের তুলনায় ৪৮তম সপ্তাহে মৃত্যু বেড়েছে ১০৬ জনের, ৮৫ শতাংশের বেশি। আর বিগত সপ্তাহে আগের সপ্তাহের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে ৫৩ জনের, প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি।
এই তিন সপ্তাহে সরকারি হিসাবে দৈনিক করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যাও বেড়ে দুই হাজার আশপাশে উঠেছে। শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ১ হাজার ৯০৮ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৬০ হাজার ৬১৯ জন হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হবে রোববারের ১৭৮৮ জন।
বিশ্বব্যাপী করোনার দ্বিতীয়বারের আঘাতে পর্যুদস্ত বহু দেশ। শীতে করোনার আঘাত করো তীব্রতর হওয়ার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। ফলে সামনের দিনগুলোতে স্বাস্থ্যসেবার অবকাঠামোগত সুবিধা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালনের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।