ফেসবুকে তরুণীর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করার অভিযোগে হারুন অর রশিদ ওরফে সীমান্ত নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
রোববার (২৯ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া উইং এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২৮ নভেম্বর বিকাল ৪টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর মিরপুর পশ্চিম শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সাইবার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন টিম। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে অশ্লীল ছবি, ভিডিও, ইলেকট্রিক ডিভাইস এবং বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক আইডি উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে ডিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার সাইদ নাসিরুল্লাহ বলেন, ভিকটিম রাজধানীর উত্তরায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাশন ডিজাইনে অনার্সে অধ্যয়নরত ছিল। অধ্যয়নকালে তার সহপাঠী সীমান্তের সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২০১২ সালের ৩০ জুলাই ভিকটিমকে সীমান্ত মোহাম্মদপুরে তার নিজ বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ভিকটিমের মতের বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগ করে অশ্লীল ছবি তোলে এবং তার কাছ থেকে বিয়ের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করে নেয়। পরবর্তী সময়ে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ের কাগজপত্র তৈরি করে সীমান্ত। এর ফলে ভিকটিম নিজের সম্মান ক্ষুন্ণ ও লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে ভিকটিম ওই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর নোটারি পাবলিক সদর, চট্রগ্রাম থেকে হলফ নামার মাধ্যমে হারুন অর রশিদ ওরফে সীমান্তকে তালাক দেন। তালাক দেওয়ার পর সীমান্ত ভিকটিমের বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের মোবাইলে সীমান্তের সাথে ভিকটিমের বিভিন্ন অশ্লীল ছবি প্রেরণ করে। এছাড়াও সীমান্ত ভিকটিমের নিকট বিভিন্ন সময় টাকা দাবি করতে থাকে এবং বিভিন্ন অশ্লীল ছবি দিয়ে ফেসবুক আইডি খুলে তা প্রচার করতে থাকে।
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়। মামলা তদন্তভার ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের কাছে হস্তান্তর হলে বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তের অবস্থান শনাক্ত করা হয়।