বিজয় দিবসের যে কোন অনুষ্ঠান করতে জানাতে হবে পুলিশকে

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-19 12:48:53

আসছে মহান বিজয় দিবসের যে কোনও অনুষ্ঠান করতে হলে আগেই পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। 

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গৃহীত জাতীয় কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় ভার্চুয়াল সভা শেষে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এসময় তিনি বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করছি মহান বিজয় দিবসে আনন্দের দিনে লোকজন বাইরে বেরিয়ে আসবেন। বেরিয়ে আসলে আমরা তাদের নিরাপত্তা দেব কিংবা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে চলবে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিজয় দিবসে যেসব কর্মসূচি দিয়েছে সেগুলো যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালনের জন্য সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিজয় দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইনডোর বা ঘরোয়া অনুষ্ঠান যারা করতে চান তারা করতে পারবেন। কিন্তু সেই বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আগে জানাতে হবে। যাতে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের পাশে থেকে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে পারেন।’

তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবস উপলক্ষে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সঠিক মাপ ও রঙের জাতীয় পতাকা যথাযথভাবে তুলতে হবে। যে যেভাবে পারেন সেভাবে না উঠিয়ে অন্তত মাপটা যাতে ঠিক থাকে সে জন্য সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয়ভাবে ছাড়াও সারাদেশে জেলা ও উপজেলায় যেসব অনুষ্ঠান হয় প্রতিবারের মতো সেটা এবারও হবে। বিভিন্ন স্থাপনায় আলোকসজ্জা হবে এবং সব সময় যেভাবে আলোকসজ্জা করা হয় সেভাবে করতে পারবেন।’

বিজয় দিবসে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সঠিক মাপ ও রংয়ের জাতীয় পতাকা সঠিকভাবে উত্তোলন করতে হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গমানাগমন ও পুষ্পস্তবক অর্পণকালীন যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রত্যেকবার যেভাবে নেয়া হয়, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঠিক সেভাবেই থাকবে। বিদেশি কূটনীতিকরা যারা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন তাদের জন্য যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। সবখানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আলোকসজ্জা থাকবে। ঢাকা শহরের সব রাস্তায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসহ প্রতিবারের মতো সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাস্তাঘাটগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও জাতির পিতার জন্য এবং দেশ ও জাতির শান্তি ও অগ্রগতির জন্য বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা হবে। কারাগার, হাসপাতাল, বৃদ্ধাশ্রম ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।

সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর