করোনার থাবায় সাভারে ৫ পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা) | 2023-08-30 00:27:23

সাভারের আশুলিয়ায় মহামারি করোনার কারণে ক্রয়াদেশ কমে যাওয়ায় ৫টি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ৩টি কারখানা স্থায়ী বন্ধ এবং অপর দুটি লে-অফ ঘোষণা করা হয়। এসব কারখানাগুলোতে প্রায় ২ হাজার ১৫০ জন শ্রমিক কাজ করতো।

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সরোয়ার হোসেন।

জানা যায়, আশুলিয়ার ধনাইদ এলাকার সিগমা ফ্যাশনস লিমিটেড কারখানা স্থায়ী বন্ধ ও জামগড়া এলাকার মদিনা অ্যাপারেলস কারখানা ৪৫ দিনের লে-অফ ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও আশুলিয়ার ন্যাচারাল সোয়েটার ও পুর্বা সোয়েটার স্থায়ী বন্ধ ঘোষণার খবর পাওয়া গেছে। ন্যাচারাল সোয়েটারে ১ হাজার ১০০ শ্রমিক ও পুর্বা সোয়েটারে ২৫০ জন শ্রমিক কাজ করতো। অন্যদিকে নিউ আইডিএস সোয়েটার কারখানার একটি সেকশন লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে ১০০ জন শ্রমিক কাজ করে।

সিগমা ফ্যাশনের দেওয়া নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে করোনা পরিস্থিতির কারণে কারখানা কর্তৃপক্ষ শতচেষ্টা করেও পর্যাপ্ত কাজ সংগ্রহ করতে পারেনি। ক্রমাগত ক্রয়াদেশ কমার ফলে কাজ বর্তমানে শূন্যের কোঠায় নেমেছে। এ কারণে কারখানা ক্রমাগত আর্থিক লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে, এমন কি দিন দিন ঋণের বোঝা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৩০ নভেম্বর থেকে কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে শ্রমিকদের ত্রিপক্ষীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আইনানুগ যাবতীয় সুবিধা আগামী ৭ ডিসেম্বর পরিশোধ করা হবে।

অপর কারখানা মদিনা অ্যাপারেলসের নোটিশে বলা হয়েছে, করোনা মহামারি পরিস্থিতি ও আকস্মিক বিপত্তির কারণে কারখানার বিভিন্ন সেকশনে কাজ না থাকার ফলে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কারখানা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১২ ধারা মোতাবেক ১ ডিসেম্বর থেকে ৪৫ দিনের লে-অফ ঘোষণা করা হলো। এই আইন অনুযায়ী কারখানায় কাজ না থাকলে অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হলে কর্তৃপক্ষ লে-অফ ঘোষণা করতে পারে। এ সময়কাল মাসিক হারে ১ বছর ধরে চাকরি করা শ্রমিকরা তাদের মুল বেতনের অর্ধেক পাবেন।

মদিনা অ্যাপারেলসের অ্যাডমিন ম্যানেজার এসকে খোকন জানান, করোনার কারণে আমাদের কারখানায় কাজ নেই। তাই কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের কিছু ক্রয়াদেশ স্থগিত আছে, সেগুলোর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলেই কারখানা আবার চালু করা হবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সরোয়ার হোসেন বলেন, করোনার কারণে কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত এ কথা সত্যি, তবে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া অশনি সংকেত। শ্রমিকদের মুখের দিকে তাকিয়ে ক্রয়াদেশ কিভাবে বাড়ানো যায় এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুদৃষ্টি দেওয়ার জোর দাবি জানান তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর