অনুমতি ছাড়া রাজধানীতে সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের সভা, সমাবেশ ও গণজমায়েত না করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দেওয়া নির্দেশনার পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১১টায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃক ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের সামনে সম্প্রতি ঢাকার মহাখালীর সাততলা বস্তি, মোহম্মদপুরের জহুরী মহল্লার বস্তি ও মিরপুরের কালশীর বস্তিতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে কম্বল ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
গণস্বাস্থ্যের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্যের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুর কাদির আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, গণস্বাস্থ্যের এইচ আর পরিচালক আকলিমা খাতুন ও কর্মকর্তা শাহানাজ।
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর ও ঐক্যবদ্ধ ছাত্র পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদউল্লাহ মধুর নিকট এক হাজার কম্বল ও এক হাজার পরিবারের খাদ্য সামগ্রী হস্তান্তর করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। হস্তান্তর শেষে এসব ত্রাণ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
এসময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে, এই দুর্যোগের মুহূর্তে ডিএমপির একটি নোটিশ মর্মাহত করেছে। মানুষ চলাফেরা করতে পারবে না, সভা সমাবেশ করার জন্য অবশ্যই পুলিশকে অবহিত করা হবে। কিন্তু অনুমতি নিতে হলে আপনারা তো অনুমতি দেন না, এটা সবার জানা কথা। কাউকে সংবর্ধনা দিতে দিবেন না, বক্তব্য রাখতে দিবেন না, সমালোচনা করতে দিবেন না, এটা ভালো কাজ না। তাই আমি ডিএমপিকে অনুরোধ করছি এই নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করার জন্য।
তিনি বলেন, সভা সমাবেশের জন্য আপনাদেরকে জানানো হবে যাতে আপনারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারেন। যতগুলো বিশৃঙ্খলা হয়েছে তার জন্য সরকারই দায়ী। আজকে ভাস্কর্য- মূর্তির ঝামেলা তৈরি করতে সরকার এক দিকে মদদ দিয়েছে, অন্যদিকে যখন দেখছে সামাল দেওয়া যাচ্ছে না তখন এই অবস্থা...।
সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবেন না। মিছিল মিটিংয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না। তবে যারা করছেন তাদের প্রতি আবেদন কোনো ভাবেই যেনো গাড়ি-চলাফেরা বিঘ্ন না হয়।
আমাদের ক্ষুদ্র চেষ্টা। ক্ষতিগ্রস্তদের সামান্য সাহায্য। এদেরকে সামান্য সাহায্য, সরকারের কাছেও আবেদন করছি, এইসব জায়গায় সাহায্য করেন। আগুন দিয়েছে কারা? আপনারা তা প্রকাশ করেননি।
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবান মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে গণস্বাস্থ্যের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুর কাদির আহমেদ বলেন, সম্প্রতি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে এবং অসহায় মানুষদের শীতের সময় আরও ত্রাণ দেওয়া হবে।
ইতিমধ্যে করোনাকালীন সময়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ২০ হাজার অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে বলে জানান তিনি