ভাসানচরে কাউকে জোর করে নেওয়া হচ্ছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-26 04:25:17

ভাসানচরে কাউকে জোর করে নেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, শুধু মাত্র যারা সেচ্ছায় সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন, তাদেরই স্থানান্তর করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে ভাসানচরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে জাতিংসঘের নানা শর্তজুড়ে দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকে একথা জানান মন্ত্রী।

জাতিসংঘকে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে স্বচ্ছ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেকে আশঙ্কা করছে ভাসানচরে গেলে তাদের এনজিওগুলোর লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে। আবার রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ মনে করছে তাদের সুযোগ সুবিধাও কমে যাবে। আসলে এমন কিছুই না, ভাসানচরে আরও অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাউকেই সরকার জোর করে নিয়ে যাচ্ছে না। যারা যাচ্ছেন স্বেচ্ছায় যাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের শিবির থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্গম ভাসানচরে স্থানান্তর দ্রুত বন্ধ করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন- নিউইয়র্কভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) ও লন্ডনভিত্তিক অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

বিবৃতিতে এইচআরডব্লিউ বলছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে স্থানান্তর অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। একটি স্বচ্ছ স্থানান্তরপ্রক্রিয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবহিতপূর্বক পূর্ণ সম্মতি থাকতে হবে। ভাসানচরের ভেতরে-বাইরে তাদের চলাচলের স্বাধীনতা থাকতে হবে।

এর আগে বুধবার (২ ডিসেম্বর) ভাসান চরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থানান্তরকরণ প্রসঙ্গে জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে কক্সবাজার থেকে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত ভাসান চরে প্রারম্ভিক স্থানান্তরের কাজ আগামী কিছুদিনের মধ্যে শুরু করার সম্ভাবনা বিষয়ক কিছু প্রতিবেদন সম্পর্কে জাতিসংঘ অবগত রয়েছে। উক্ত স্থানান্তরের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমে, অথবা শরণার্থীদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত করা হয়নি। স্থানান্তরের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জাতিসংঘের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য নেই।

কক্সবাজারের ৩৪টি ক্যাম্পে থাকা ১১ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে উঠা ভাসানচর দ্বীপে অস্থায়ীভাবে পাঠানোর উদ্যোগ নেয় সরকার। এ কারণে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আবাসন প্রকল্প নির্মাণও সম্পন্ন হয়েছে। সেই সঙ্গে জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাস থেকে এই ৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা রক্ষা করতে ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এবং এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। নির্মিত হয়েছে সাইক্লোন সেল্টার, শিক্ষা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা অবকাঠামো।

এ সম্পর্কিত আরও খবর