মৌলভীবাজারের মনু পাড়ে তিনদিন ব্যাপী হাট উৎসব

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মৌলভীবাজার | 2023-09-01 23:28:37

উৎসবের দিন জালে উঠছে একেরপর এক বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। রয়েছে নদে থাকা আইড়, বোয়াল, রুই, কার্প, বাছা মাছসহ নাম না জানা আরও অনেক মাছ। মাছ শিকারে অংশ নিয়েছেন হাজারও সৌখিন মানুষ এবং পেশাজীবী মাছ শিকারিরা। সবকিছু মিলিয়ে একটি উৎসবের রূপ নিয়েছে মৌলভীবাজারের মনু পাড়ের হাট উৎসব। এই উৎসবটি স্থানীয় ঐতিহ্যের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে কুলাউড়ার মনু নদে ঐতিহ্যবাহী তিনদিন ব্যাপী এ হাট উৎসব শুরু হয়েছে। উৎসবের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন স্থানীয়রাই। হাট উৎসবের দিন থেকে আয়োজন করা হয় মাছ ধরা উতসবেরও। যেই মেলা আজ থেকে শুরু হয়ে চলবে আগামী সোমবার পর্যন্ত।

স্থানীয়রা এই উৎসবকে বলেন, ‘হাট উৎসব’। এই উৎসবকে রাঙিয়ে তোলেন মূলত সৌখিন এবং পেশাদার মাছ শিকারিরা। হাজারো সৌখিন মানুষ পেশাদার মাছ শিকারীদের সংমিশ্রণে প্রাণ চঞ্চল হয়ে ওঠেছে উৎসবের স্থানটি। হয়। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় মনুনদের বিভিন্ন জায়গায় মাছ ধরছেন উৎসবে অংশ নেওয়া শিকারিরা।

মাছ শিকারিরা একসাথে আনন্দ করে পলো, কুচা, ঝাকি জাল, প্লেন জাল, টানা জালসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে নদে মাছ শিকার করতে নামেন শিকারীরা। শনিবার সকালে প্রথম দিন মনু-কটারকোনা রেল সেতুর পূর্ব স্থান থেকে সকাল ১০টায় শুরু হয় মাছ ধরা। প্রতিবছরই স্থানীয়দের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় এই উৎসবের।

জানা গেছে, দ্বিতীয় দিন রোববার সুজাপুর ছৈদল বাজার ডহরে মাছ ধরা হবে। এরপরের দিন সোমবার হাজীপুর শরীফপুর পৃথিমপাশা সীমানার ধলিয়া বেলেরতল ডহরে মাছ ধরা হবে। ওইদিনই উৎসবটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রতি বছরই কুলাউড়ায় মনু নদে এ উৎসবটি পালন করা হয়। নদীপাড় ও আশপাশের হাজারো উৎসুক জনতা মাছ শিকার দেখতে উপস্থিত হন। অনেকেই মাছ শিকার দেখার পাশাপাশি মাছ ক্রয় করার জন্যও সেখানে উপস্থিত হন। নদীর মাছ সুস্বাদু ও সতেজ থাকায় মানুষের আকর্ষণ বেশি থাকে। বিভিন্ন প্রজাতির সতেজ মাছ একসাথে পেয়ে ক্রেতারা খুশি হন এবং বিক্রেতারাও ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হন।

তবে শুধু কেনাবেচাই নয়, প্রতিবছর পালিত হয়ে আসা এই উৎসবটি দিনদিন স্থানীয় ঐতিহ্যের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বিবাহিত মেয়েরা বাবার বাড়ি নাইওর আসেন। অনেকেই আবার নতুন জামাইকে দিয়ে মাছ ধরাতে এই উৎসবে নিয়ে আসেন। তাই উৎসবটি স্থানীয়দের কাছে একটু বেশিই আনন্দের।

এ সম্পর্কিত আরও খবর