ভোলা জেলা চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন ঢাল চরে মেঘনা নদীর ভাঙনে ভিটেমাটি হারানো প্রায় ৫ শত পরিবারের কান্না আজও থামেনি। তাদের দাবি- ‘ভাত-কাপড় চাইনা, একটু বসবাসের জমি চাই।’
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত ঢালচর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টি ওয়ার্ড মেঘনা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে৷ নদী ভাঙনের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জীবন যাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। কেউ বনের মাঝে, কেউ নদীর পাড়ে, কেউবা আবার অন্যের যায়গায় ঝুপড়ি বেঁধে শীত ও নদীর ঠান্ডা বাতাসের মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষেরই শীত নিবারণের একটি কাপড়ও নেই বলে জানা গেছে।
তাদের মধ্যে একজন সাহেব আলী মিয়াজী (৭০) বলেন, ৪৫ বছর ধরে ঢাল চরে বসবাস করি, কারো কাছে কোনো দিন কিছুই চাইনি। ৩ বার নদী ভাঙনের পরে আপনাদের কাছে একটু বসবাসের জায়গা ভিক্ষা চাই৷ ফরেস্টের লোকজন বনের মধ্যে থাকতে দেয়না৷ শুধু মামলার ভয় দেখায়৷
ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম পাটওয়ারী বলেন, ভাঙনে পরিষদ হারানোতে এখন ব্যক্তিগত ঘরে অস্থায়ী পরিষদ চালাতে হচ্ছে। মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। তাঁদের জরুরি পুনর্বাসন দরকার। বনের মধ্যে ফাঁকা জমি আছে, চর আছে সরকার ইচ্ছা করলে জমি বরাদ্দ দিতে পারে।
ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম বলেন, ঢাল চরের নদীভাঙা পরিবারগুলোর পুর্নবাসনের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে৷ অনুমোদন সাপেক্ষে আবাসন নিশ্চিত করা হবে।