বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল

, জাতীয়

নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-26 11:44:03

বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে অবমাননার শামিল। নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর কেবল ধৃষ্টতা নয়, বরং রাষ্ট্রদ্রোহিতার নামান্তর। এই ঘৃণ্য ও বর্বরোচিত কর্মকাণ্ডে যুক্ত ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন সরকারের সাবেক ১০১ সচিব।

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) তারা এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।

সাবেক সচিবদের পক্ষে বিবৃতিতে সই করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা একেএম শামীম চৌধুরী।

ঢাকায় দোলাইরপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে হেফাজতে ইসলামের নেতারা বিরোধিতা করে আসছেন। এর মধ্যে ৪ ডিসেম্বর রাতের কোনো একসময় কুষ্টিয়া পৌরসভার পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ডান হাত, পুরো মুখ ও বাম হাতের অংশ ভেঙে ফেলা হয়। এরপরই দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠে। শনিবার রাজধানীসহ সারা দেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর পরপরই সাবেক সচিবদের এই বিবৃতি এলো।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের জাতির পিতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিটি স্পন্দনে আমরা বঙ্গবন্ধুকে খুঁজে পাই। আমাদের অস্তিত্বের অপর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন সত্তা। বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে অবমাননার শামিল। শুধু তা-ই নয়, তারা কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে, যা কেবল ধৃষ্টতা নয়, বরং রাষ্ট্রদ্রোহিতার নামান্তর। আমরা বিশ্বাস করি, এই সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী ও উগ্র জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী ’৭৫-এর ঘাতকদের দোসর। আমরা অবিলম্বে এই ঘৃণ্য ও বর্বরোচিত কর্মকাণ্ডে যুক্ত সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি। একই সঙ্গে ভাস্কর্য-শিল্প তথা সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থানকারী মৌলবাদের মূলোৎপাটনের উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিবৃতি দেয়া সাবেক সচিবদের মধ্যে রয়েছেন- এম আজিজুর রহমান, কাজী মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান, মোশাররাফ হোসেন ভূঁইয়া, মো. আবুল কালাম আজাদ, কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মো. নজিবুর রহমান, মো. আবদুর রব হাওলাদার, নজরুল ইসলাম, হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, কামরুননেসা খানম, মো. জিয়াউল ইসলাম, খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান, কাজী আখতার হোসেন, ড. মো. মাহফুজুর রহমান, উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত, মো. আজিজুর রহমান, শফিক আলম মেহেদী, কানিজ ফাতেমা, মিজানুর রহমান, ড. চৌধুরী মো. বাবুল হাসান, মোহাম্মদ গোলাম কুদ্দুস, মনোয়ার ইসলাম, আ অ ম আবদুর রহমান, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, মো. হুমায়ুন খালিদ, কেএইচ মাসুদ সিদ্দিকী, ড. মোহাম্মদ সাদিক, সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মোহাম্মদ, নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, ড. মো. শামসুদ্দোহা খন্দকার, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন, মো. গোলাম হোসেন, মো. শফিকুল ইসলাম পটোয়ারী প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর