প্রচণ্ড গরমে নগরবাসীর হাঁসফাঁস!

চট্টগ্রাম, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 03:49:46

চট্টগ্রামে কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরম অনুভব হচ্ছে। এতে নগরবাসীর ত্রাহি অবস্থা। জনজীবন ওষ্ঠাগত।

গত সোমবার থেকে দিনের বেলায় ৩৫ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরম পড়ছে। বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ৩২ ডিগ্রি তাপমাত্রা অনুভব হয়। দুপুরের দিকে তা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়।

গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। শুধু দিনে নয়, রাতেও গরমে মানুষ ঘুমাতে পারছে না মানুষ। তীব্র এই তাপদাহে বেশি কষ্ট হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুদের।

চট্টগ্রামের উপর দিয়ে তাপ প্রবাহ বয়ে যাওয়ার কারণে এই অস্বস্তিকর গরম অনুভূত হচ্ছে বলে দাবী করেন চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস। তাপপ্রবাহ আরো কয়েক দিন অব্যাহত থাকারও আভাস দিয়েছেন তারা।

আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী জানান, প্রতিবছরই মার্চ-এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের দিকে একটু তাপমাত্রা বেশি হয়। (১৭ সেপ্টেম্বর) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তবে বিকেল নাগাদ আরো বাড়তে পারে। ১৯ সেপ্টেম্বর এ তাপমাত্র ৩৬ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে। তবে মানুষের অনুভবের মাত্রাটা আরো বেশীও হতে পারে। এদিকে অনেকেই গরম থেকে বাঁচতে ডাব, শরবতসহ বিভিন্ন পানীয় পান করছেন। এ অসহ্য গরমে পেটের পীড়া, জ্বরসহ ছড়িয়ে পড়ছে নানা রোগ।

এ গরমের মধ্যে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় গরমের মাত্রাটা আরো বেড়ে যায়।

দুপুরে চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে থেকে বাচ্চাকে নিতে আসা গৃহিনী মোতাহেরা বেগম মুক্তা জানান, দুপুরে সড়কের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। চোখ জ্বলে। বাচ্চাকে কাল থেকে আর স্কুলে আনবো না।

চট্টগ্রামের সিভিল  সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বার্তা২৪কে বলেন, এধরনের দীর্ঘসময় ধরে গরমে কাজ করা মানুষের হিটস্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শরবত ও ওরালস্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সিভিল সার্জন।

 তিনি আরো বলেন, এ গরমে অতি প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের না হওয়ায় ভালো। ছোট শিক্ষার্থীদের বার বার গোসল করানো জরুরী। বাচ্চাদের ঠান্ডা ও শীতল জায়গায় রাখতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর