শ্রদ্ধার পুষ্পে ভরে গেছে শহীদ বেদী

, জাতীয়

মাহিদুল মাহিদ , স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, সাভার, ঢাকা | 2023-08-28 04:01:43

২৪ বছরের সংগ্রাম ও দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আজকের এই দিনে বিজয়ের স্বাদ পায় বাঙালি জাতি। বাঙালিদের কাছে দিনটি গৌরব ও অহংকারের। তবে খুশি আনন্দের মাঝেও আছে বিষাদ।কারণ লাখো শহীদের রক্তে কেনা এ বিজয়। তাই উৎসবের এদিনে সেই সব শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে নেমে এসেছে গণমানুষের ঢল। শ্রদ্ধার পুষ্পে ভরে গেছে শহীদ বেদী।

বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ  ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হওয়া বীরদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উম্মুক্ত করা স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক। এর পর ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে শ্রদ্ধা জানাতে প্রবেশ শুরু করে সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বেদীতে জমা হয় ফুলের স্তুপ। আজ যেন শ্রদ্ধায় সিক্ত দেশের বীর সন্তানরা। এসব ফুলের শ্রদ্ধাঞ্জলির জায়গা না হওয়ায় কিছুক্ষণ পর পর সরিয়ে ফেলা হয়। যাতে করে সবাই ফুল দিয়ে শদ্ধা জানাতে পারেন।

আজ যেন শ্রদ্ধায় সিক্ত দেশের বীর সন্তানরা

অনেকেই ব্যক্তি উদ্যোগে বা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসতে থাকেন স্মৃতিসৌধে। সকালের দিকে ভিড় তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভিড় কমে আসে। করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে খানিকটা শৈথিল্য দেখা গেছে।

শ্রদ্ধা জানাতে আসা নাইম বলেন, আমরা শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাত থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। স্মৃতিসৌধ উম্মুক্ত করার সাথে সাথেই আমরা এসে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছি। যুদ্ধের সময় আমাদের জন্ম হয় নি। যুদ্ধে কোন অবদান রাখতে পারি নি। তাই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানিয়ে যেন মুক্তি যুদ্ধের স্বাদ পাই।

গার্মেন্টসকর্মী শাকিল বলেন, আমরা আসলে সময় কম পাই। সারাদিন কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। ছুটি পেয়ে আজ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। আসলে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আলাদা দিনের প্রয়োজন হয় না। আমরা সব সমই শ্রদ্ধা করি যাদের জন্য বিজয় পেয়েছি তাদের। ছুটির দিনে আজ বিজয় দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। আসলে সব সময়ই আমরা শ্রদ্ধা জানাতে পারি।

বেদীতে জমা হয় ফুলের স্তুপ

স্মৃতিসৌধের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, জনসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উম্মুক্ত করার পর ছোট ছোট দলে বিভক্ত করে তাদের প্রবেশ করানো হয়েছে। তার পরেও সৌধ প্রাঙ্গণে আবেগী মানুষের ঢল ছিল। তাদের মাস্ক পড়ে ভিতরে প্রবেশের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।

আনন্দের এই দিনে জাতীয় স্মৃতিসৌধের চারপাশেও ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। ফেরিওয়ালা ও হকারদের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা বিক্রি করেন। দর্শনার্থীরা পতাকা, গালে স্বাধীনতার প্রতীকী চিহ্ন এঁকে ঘুরে বেড়ান স্মৃতি সৌধ প্রাঙ্গণে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর