‘ধর্মের মুখোশধারীরা মূর্তি আর ভাস্কর্যের পার্থক্য জানেনা’

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-28 05:47:35

পৃথিবীর অনেক দেশেই ভাস্কর্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি বলেছেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই ফাদার অব দি ন্যাশন, হেড অব দি স্ট্যাট অথবা হেড অব দি গভার্ণমেন্ট তাদের ভাস্কর্য রয়েছে। এমনকি ইসলামিক দেশগুলোতেও ভাস্কর্য রয়েছে। আমরা অনেকেই অজ্ঞতার কারণে মূর্তি এবং ভাস্কর্যের মধ্যে পার্থক্যটা জানিনা। বিশেষ করে ইসলাম ধর্মের মুখোশধারী যারা ইসলামের কথা বলেন তারা জানেন না। তারা কিভাবে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করবে তার জন্য পায়তারা করছে। তাই আমাদের সবাইকে সাবধান থাকতে হবে।

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) গুলশান-২ এ বিচারপতি সাহাবুদ্দীন পার্কে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বাংলাদেশ সংবিধানের স্বাক্ষরদাতা মরহুম আবুল হোসেনের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ একথা বলেন।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন আপাদমস্তকে একজন বড় অসাম্প্রদায়িক লোক ছিলেন। রাজনীতির ঊর্ধ্বে তাঁর এটা একটি বড় কোয়ালিটি ছিল। রাজনীতিবিদদের যে যেকথাই বলুক কাজে হয়ত আমরা একটু ভিন্নতা দেখতে পাই। কিন্তু আবুল হোসেন ভাই এর সঙ্গে মিশে যেটুকু দেখেছি বা উপলদ্ধি করতে পেরেছি তা হলো- তিনি যা বলেন; সেটা তিনি করেন। তিনি যা বলেন; সেটা তিনি নিজে মানেন। তিনি যে আপাদমস্তকে অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব ছিলেন সেটা আমার চেয়ে লালমনিরহাট বা কুড়িগ্রাম জেলার আপাদ জনসাধারণ একবাক্যে কোয়াজ হয়েছে তারা এটা স্বীকার করবে। তাই আজকের দিনে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আবুল হোসেন ভাইয়ের মতো রাজনীতিবিদদের বেঁচে থাকা উচিত ছিল। তার কারণ আপনারা দেখতে পাচ্ছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যকে কেন্দ্র করে তথাকথিত কিছু ব্যক্তি যারা ইসলামের মূল আদর্শে অনুপ্রাণিত নন তারা কিছুটা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে। আমি নিশ্চয়তার সাথে বলতে পারি যদি আবুল হোসেন ভাই বেঁচে থাকতেন তাহলে লালমনিরহাট জেলা থেকে যে প্রতিবাদ হতো তার লিডিং বার্তায় থাকতেন আবুল হোসেন ভাই এবং তাঁর কণ্ঠস্বর প্রথমে এর বিরুদ্ধে বক্তব্য বের হতো। দেশের স্বার্থে আমাদের জাতির স্বার্থে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সংস্কৃতির জন্য আজ আবুল হোসেন ভাই এর প্রয়োজন ছিল।

দোয়া মাহফিল ও স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- গোলাম মোহাম্মদ কাদের, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান, প্রফেসর ডা. দিলীপ কুমার ধর, মুখ্য আলোচক, মো. শফিউল আলম প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর