সৈয়দপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় অস্তিত্ববিহীন
নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় নামে কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব নেই এবং বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্তও নয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
ইউজিসি’র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় নামে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব সম্পর্কে কমিশন অবগত নয়। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় নামক কোন প্রকল্প প্রস্তাবও ইউজিসিতে প্রেরণ করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়টির উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত) পরিচয়দানকারী অধ্যাপক ড. এ বি এম শরিফুজ্জামান শাহ সম্প্রতি প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও শিক্ষকসহ বিভিন্ন পদে জনবল নেওয়া হবে উল্লেখ করে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
ইউজিসি’র দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দেখানো হয়েছে সংসদ সদস্য (মহিলা আসন-৩২৩) রাবেয়া আলীম-কে।বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সংবাদ, জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিসহ বিভিন্ন বিষয় ইউজিসি’র দৃষ্টিগোচর হওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকবৃন্দ ও চাকরি প্রত্যাশীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে সর্তক থাকার জন্য বলা হইল।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকতা এম এ খায়ের বার্তা২৪.কম’কে জানান, কথিত বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক স্বীকৃত নয় । গণমাধ্যমে দেওয়া নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তির ভিত্তিতে কোন রকমের কর্মকাণ্ড না করার জন্য সকলকে সতর্ক করা হয়েছে। বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখছে।
এ সম্পর্কে সংসদ সদস্য রাবেয়া আলিম এমপি জানান, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলাম। এখন সব বিষয় আমার ছেলে রাশেদ দেখাশোনা করেন। আপনারা রাশেদের সাথে যোগাযোগ করেন।’
প্রকৌশলী রাশেদুজ্জামান রাশেদ জানান, ‘আমি কিছু জানি না। রাজনীতি করি আমি, তাই হয়তো আমাকে সদস্য হিসাবে পদে রাখা হয়েছে।সব কিছুই ভারপ্রাপ্ত ভিসি মহোদয় জানেন। ’
কথিত বিশ্ববিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর ড. এবিএম শরিফুজ্জামান শাহকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রত্যেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর মেয়াদে ভিসি, প্রো-ভিসি এবং কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেন। এসব পদে কোন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাউকে নিয়োগ প্রদান করলে তা হবে সম্পূর্ণ আইন পরিপন্থী। এছাড়া উপাচার্যবিহীন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রোগ্রামের প্রদত্ত সাটিফিকেটও অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।