ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মাজারে আধিপত্য বিস্তার, গান-বাজনা ও অশ্লীলতার প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষের হামলায় নুরুল ইসলাম (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের আয়াত উল্লাহ শাহ'র মাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নুরুল ইসলাম যাত্রাপুর গ্রামের এন্ট্রাস মিয়ার ছেলে। এঘটনায় নিহতের পিতা এন্ট্রাস মিয়া ও তার ভাই সিরাজুল ইসলামসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের আয়াত উল্লাহ শাহ'র মাজারের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চর চারতলা গ্রামের আল আমিন শাহ, যাত্রাপুর গ্রামের মোশারফ, সাইদুল ও মোয়াজ্জিনসহ একটি মহল নিয়মিত গান-বাজনা, নারী-পুরুষের অবাদ বিচরণসহ অশ্লীল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। নিহত নুরুল ইসলাম এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় দু-তিনদিন আগে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকালে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি হয়। পরে রোববার বিকেলে এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পুনরায় তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় টেটাবিদ্ধ হয়ে নুরুল ইসলাম মারাত্মকভাবে আহত হলে তাকে চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। এঘটনায় পুলিশ মহিলাসহ ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিবুর রহমান জানান, বর্তমানে পরিস্থতি স্বাভাবিক রয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহিলাসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।