দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে মানবিক আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের একটি দল স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে রাজি হয়েছেন। এই দলটি সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) ভাসানচরের উদ্দেশ্যে ক্যাম্প ছাড়ছেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) রোহিঙ্গাদের তিন ধাপে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে। দুপুরে প্রথম চালান ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
এবারও উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে তিন দলে ভাগ করে বাসগুলো চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যেতে উখিয়া কলেজ মাঠে অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। মূল ক্যাম্প ছাড়াও ৩৪টি ক্যাম্প থেকেই ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গারা রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে ট্রানজিট পয়েন্টে আসতে শুরু করেছে। বাকিরা সোমবার সকালে এসে পৌঁছাবে।
তবে এবারও রোহিঙ্গাদের ভাসানচর নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রশাসনের কেউ মুখ খুলছেন না। গতবারের মতো এবারও র্যাব-১৫ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর দুপুরে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে স্থানান্তরের প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে কেবল যারা স্বেচ্ছায় যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে তাদেরকেই স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, চট্টগ্রাম থেকে চূড়ান্তভাবে জাহাজে না উঠা পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কোনো কথা না বলার বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। প্রথমবার যেভাবে সময়মতো গণমাধ্যমকে সবকিছু জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, পরবর্তী ধাপেও একইভাবে জানানো হবে। তখন দেশবাসী ও সারা বিশ্ব বিষয়টি জেনে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।