নওগাঁয় জনপ্রিয় হচ্ছে লতিরাজ কচু চাষ

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ | 2023-08-30 10:56:23

নওগাঁর রাণীনগরে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে লতিরাজ কচু চাষ। মুনাফা বেশি হওয়ায় অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই সবজি চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। সবজিটি মূলত দেশের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি চাষ হয়। এক ঘেয়েমি আবাদ থেকে কৃষকদের অল্প সময় ও কম খরচে অধিক মুনাফার আশায় এই লতিরাজ কচু চাষ করছেন চাষিরা। রাণীনগর উপজেলাতে উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক ত্বত্তাবধানে এই কচু চাষ হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলা মূলত ধান চাষের জন্য বিখ্যাত। তবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষি অফিসের সার্বিক ত্বত্তাবধানে অধিক লাভজনক ড্রাগন ও মাল্টা ফল এবং লেবু চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। তারই ধারাবাহিকতায় শুরু হয়েছে লতিরাজ কচু চাষ।

উপজেলার ৮ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের লতিরাজ কচুর পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হয়েছে। বাজারে চাহিদা থাকায় অন্যান্য ফসল ও সবজির চেয়ে কচু চাষ লাভজনক। এমনকি নিচু জমিতেও এই সবজি চাষ করা সম্ভব। এতে তেমন কীটনাশক ও সার ব্যবহার করতে হয় না। এই কচু গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি হওয়ায় রোগের আক্রমণ কম হয়। কচু গাছের পাতা, কান্ড ও মূল সবজি হিসেবে খাওয়া যায়।

এছাড়া কচুর কান্ডকে চারা হিসেবে বিক্রি করা যায় অর্থাৎ লতিরাজ কচুর পুরোটাই ব্যবহার করা সম্ভব। এক সময় উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে লতিরাজ কচুর চাষ শুরু হবে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চালান করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

কাশিমপুর গ্রামের কচু চাষি আবুল কাশেম বলেন, ‘কৃষি কর্মকর্তার উৎসাহে আমি বাণিজ্যিকভাবে এই কচু চাষ শুরু করেছি। এতে আমার ভালো মুনাফা হচ্ছে। এই কচুর কোনও অংশই নষ্ট হয় না কিংবা ফেলে দিতে হয় না। আগামীতে আমি এই কচু চাষের পরিধি আরও বৃদ্ধি করবো।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান সরকারের ভিশন বাস্তবায়ন করতে কৃষকদের অধিক লাভজনক ফসল ও সবজি চাষের প্রতি আগ্রহী করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা। আমি নিজ উদ্যোগে পরীক্ষামূলকভাবে কচুর চারা সংগ্রহ করে কৃষকদের দেই। এখন কৃষকরা কচু তুলছেন। সেটা বাজারে বিক্রি করে তারা লাভবান হচ্ছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘একই জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করলে জমির উর্বরতা শক্তিও বৃদ্ধি পায়। কচু চাষের অনেক সুবিধা রয়েছে যেমন এই সবজি যে কোনও জমিতে চাষ করা সম্ভব, সবজি হিসেবে বাজারে বিক্রির পাশাপাশি চারা হিসেবেও কচুর কান্ড বিক্রি করা যায় অর্থাৎ এই কচুর আপাদ-মস্তকই লাভজনক। যারা এই কচু চাষে আগ্রহী তাদের আমি কৃষি অফিসের মাধ্যমে চারা সরবরাহ করি এবং তাদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছি।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর