স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সেরামের ভ্যাকসিনের বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। এ ছাড়া তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের আলাপ হয়েছে। আমরা সব জায়গা থেকে আশ্বাস পেয়েছি। যেহেতু চুক্তি হয়েছে আমরা ভ্যাকসিন পাব।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা রফতানিতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। ভারতের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে সোমবার (৪ জানুয়ারি) এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক ‘ভ্যাকসিনের পাওয়া নিয়ে’ বিস্তারিত তুলে ধরেন।
মন্ত্রী বলেন, ভারতের কাছ থেকে করোনার ভ্যাকসিন পেতে তাদের সঙ্গে আমাদের সাথে যে চুক্তি হয়েছে এবং আজকে যে আলোচনা হয়েছে তাতে আমরা এখনো আশাবাদি। আশা করছি এ চুক্তি ব্যাহত হবে না।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আপনারা যা জেনেছেন আমরাও তা জেনেছি। আশা করছি কোনো সমস্যা হবে না, আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। তাদের সাথে আমাদের চুক্তি আছে। ভারতের অনুমোদিত এই ভ্যাকসিন এখন ডব্লিউএইচওর কাছে আবেদন করবে, আবেদনের প্রেক্ষিতে তারা অনুমোদন পাবে। এরপর তারা আমাদেরকে জানাবে আমরা কবে পাব।
মন্ত্রী আরও বলেন, তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তির প্রতি আমাদের আস্থা আছে। এ বিষয়ে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা হয়েছে। উনারা কেউ নেগেটিভ বলেনি।
এদিকে মন্ত্রীর বক্তব্যের পর ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য সচিব জানান, ভারতীয় দূতাবাস থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়েছে যে, ভারত সরকার ভ্যাকসিন নিষিদ্ধ করেছে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে সরকারি পর্যায়ে। এখানে কোনো বাধা নেই। এ জন্য চুক্তি অনুযায়ী অর্ধেক অর্থ (১২০ মিলিয়ন ডলার) (সোমবার) পরিশোধ হয়ে যাবে। মন্ত্রী ইতিমধ্যে অনুমোদন দিয়েছেন।
রোববার (৩ জানুয়ারি) ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (ডিসিজিআই) কোভিশিল্ডের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।
এরপরেই ওইদিন মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালা বলেন, রোববার ভারতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা তাদের টিকার জরুরি অনুমোদন দিয়েছে। তবে শর্ত হচ্ছে ভারতের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা রফতানি করা যাবে না।
তিনি জানান, আমরা এ মুহূর্তে শুধু ভারত সরকারকে টিকা সরবরাহ করতে পারব। টিকা মজুত না করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেরাম ইনস্টিটিউট এক সভায় জানায়, যেসব দেশ তাদের টিকা নিতে আগ্রহী, তাদের দেওয়ার আগে দুই মাস ভারতের তাৎক্ষণিকভাবে কী পরিমাণ টিকার প্রয়োজন, তা উৎপাদনে মনোনিবেশ করতে চায় তারা।