লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে পরিবার ও রক্তের বন্ধন হার মেনেছে। এ নির্বাচনে ভাই-ভাই, স্বামী-স্ত্রী, বাবা-মেয়ে, মা-ছেলে প্রার্থী হয়েছে। তারা বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের প্রার্থী। এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানা গেছে, আগামী ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপে এ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীতসহ ৪ জন মেয়র প্রার্থী রয়েছেন। তিনটি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ১২ জন প্রার্থী। নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৬০ জন কাউন্সিলর প্রার্থীকে বৈধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ও মো. ফয়সাল আপন ভাই। একই অবস্থা ৭ নম্বর ওয়ার্ডেও। মো. মেহেদী হাসান বড় ও কামরুল হাসান ছোট ভাই। ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ইব্রাহীম মজুমদার, তার মেয়ে ফারজানা মজুমদার জনি সংরক্ষিত ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন মোল্লা, তার স্ত্রী সাফিয়া আক্তার সংরক্ষিত ৪, ৫, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী জসিম উদ্দিন, তার মা জাহান আরা বেগম সংরক্ষিত ৭, ৮, ৯ ওয়ার্ডের প্রার্থী। এসব ছাড়াও প্রত্যেক ওয়ার্ডে একাধিক প্রার্থী রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে স্কুলশিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভাই-ভাই, স্বামী-স্ত্রী, বাবা-মেয়ে, মা-ছেলে প্রার্থী হওয়ায় স্থানীয়ভাবে কৌতূহল শুরু হয়েছে। তারা যখন প্রচার-প্রচারণা শুরু করবেন, তখন ঘটনাগুলো আরও বেশি আলোচিত হবে।
এ ব্যাপারে রামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, প্রার্থীদের যাচাই-বাচাই শেষ হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করার জন্য নির্দেশনা রয়েছে। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।