তেজগাঁও উত্তরা মটরস-কুনিপাড়া রানার্স সড়ক উদ্বোধন

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 11:15:59

রাজধানীর আরও একটি সংযোগ সড়ক খুলে দিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। বুধবার (৬ জানুয়ারি) তেজগাঁও উত্তরা মটরস থেকে কুনিপাড়া রানার্স পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন শেষ হওয়ায় উদ্বোধন করেন মেয়র।

নতুন এই সড়কটি করতে খরচ হয়েছে ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সড়কটির দৈর্ঘ্য ৬৫৬ মিটার, এতে ৬৫৬ মিটার পাইপ ড্রেন এবং ৫৯০ মিটার ফুটপাতও রয়েছে।

উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, আজকে যে জায়গায় দাঁড়িয়ে কথা বলছি, আজ থেকে এক বছর আগেও কিন্তু এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলা যেত না। আমি নির্বাচনের সময় বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি, এখানেও এসেছিলাম। তখন আমি বলেছিলাম এই এলাকার এই অবস্থা কেন। আজ এই জায়গায় সেই দুরবস্থার অবসান হলো।

মেয়র আরও বলেন, আমরা চাই এই ঢাকাকে একটি সুন্দর ঢাকায় রূপান্তরিত করার জন্য। আমরা জানি যে, আমাদের অনেক সমস্যা আছে। কিছু সমস্যা মানুষের তৈরি। আমরা দেখেছি কিভাবে রাস্তাগুলোকে দখল করে রাখে।

খাল পরিষ্কার ও অবৈধ দখল উচ্ছেদ সম্পর্কে আতিকুল ইসলাম বলেন, আপনারা জানেন যে আমরা এক তারিখে খালের দায়িত্ব পেয়েছি। আমি ইব্রাহিমপুর খালের সামনে যখন দাঁড়ালাম, তখন দেখি খালের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৬০ ফিট, যখন ফিতা দিয়ে মাপলাম, ওই খাল আর ৬০ ফিট নাই। ওই খাল হয়ে গেছে মাত্র ১০ ফিট। তাহলে বৃষ্টি হলে পানি যাবে কোথায়? সেই পানি বিভিন্ন রাস্তায় চলে যাবে। আমি কালশি খাল ও গোদাখালী খাল থেকে ২০০ ট্রাক ডাবের খোসা উদ্ধার করেছি। এইখান থেকে জাজিম ৩৬টি, টেলিভিশন, ফ্রিজ সবকিছু খালে পেয়েছি।

উপস্থিত জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, জনগণকে বলে যাচ্ছি, যে রাস্তা, যে খাল আমরা পরিষ্কার করে দিবো, সেই খাল এবং সেই রাস্তা যেন আপনারা তদারকি করেন। সেই অঙ্গীকার আপনাদের থেকে আমরা চাই। সে দায়িত্ব আমি দিয়ে গেলাম। অনেক কষ্ট করে আমার রাস্তা করি। অনেক কষ্ট করে আমরা ফুটপাত করি। অনেক কষ্ট করে ড্রেন থেকে ময়লা সাফ করি। আপনারা বলুন কোন এলাকার ড্রেনের ময়লা আছে আমরা পরিষ্কার করে দিব প্রথমবারের মতো। আমরা বারবার পরিষ্কার করব। ময়লা করবে জনগণ, এটি হবে না। আপনাদের সাহায্য পেলে এটি একটি নন্দিত ঢাকা শহর হবে।

ভাষানটেকে গত দুইদিন ধরে চলমান অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ভাষানটেক থেকে মানিকদি রাস্তা পার হতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগতো। পকেট গেইটে একটি দোতলা বাড়ির জন্য সেখানে দীর্ঘ যানজট তৈরি হতো। আমরা সেই বাড়িটি কিনে ভেঙে দিয়েছি। এছাড়া রাস্তার দুই পাশে অবৈধভাবে তৈরি করা বাড়িগুলোর বর্ধিতাংশ ভেঙে দিয়েছি। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বাড়িও রেহাই পায়নি। দখলদার যেই হোক না কেন, যত শক্তিশালীই হোক না কেন, যত বড় রাজনৈতিক ব্যক্তি হোক না কেন, অবৈধভাবে দখল করে রাখবে, এটি আমি মানতে পারব না। যারা অবৈধভাবে খাল এবং রাস্তা দখল করেছেন তাদের জন্য আমাদের জিরো টলারেন্স অব্যাহত থাকবে।

সম্প্রতি চালু হওয়া ইউটার্ন প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, আমরা টোটাল ১০টি ইউটার্ন নির্মাণ করব। ইতিপূর্বে তিনটি ইউটার্ন নির্মাণ করা হয়েছে, সম্প্রতি আরও তিনটি ইউটার্ন খুলে দেওয়া হয়েছে। আরও চারটি নির্মাণাধীন। সবগুলো ইউটার্ন চালু হলে এর সুফল পাওয়া যাবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সফিউল্লাহ সফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর