আমদানির ঘোষণায় নওগাঁয় কমেছে ধান-চালের দাম

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | 2023-08-31 23:57:45

বিদেশে থেকে চাল আমদানি ঘোষণার পর নওগাঁর মিল ও বড় বড় চাল আড়ৎদাররা ধান কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে বাজারে প্রতি মণ ধানের দাম কমেছে চিকন জাতে ২০ টাকা ও মোটা জাতে ৫০ টাকা। অপরদিকে আড়ৎদারদের গুদামে মজুদকরা চাল বাজারে সরবরাহ করায় চালের দাম প্রতি মণে কমেছে ১০০-১৫০ টাকা।

নওগাঁয় খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চাল জিরাশাইল ৫৮ টাকা, মোটা জাতের স্বর্ণা ৪৪/৪৫ টাকা, মোটা বিআর-২৮ জাতের ৫২ টাকা, কাটারিভোগ ৬০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নওগাঁ পৌর ক্ষুদ্র চাউল ব্যবসায়ী সমিতির চাউল ব্যবসায়ী মকবুল হোসেন, নগেন্দ্র পালসহ অন্যরা জানান, নওগাঁয় চালের কোনও ঘাটতি নেই। সরকার চাল আমদানি ঘোষণা দেওয়ায় মিলাররা ধান কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। অপরদিকে তাদের গুদামে মজুত করা চাল বাজারে ছেড়ে দিচ্ছেন। ফলে চালের দাম কেজি প্রতি কমেছে ২-৩ টাকা।

রাণীনগর উপজেলার ত্রিমোহনী হাটের ক্ষুদ্র ধান ব্যবসায়ীরা জানান, চাল আমদানির ঘোষণার আগে বাজারে জিরাশাইল ধান প্রতি মণ ১৩২০-১৩৩০ টাকা এবং মোটা জাতের স্বর্ণা ১১৪০-১১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু চাল আমদানির খবরে মিল মালিকরা ধান কেনা বন্ধ করে দেন। তবে দাম বেঁধে দেওয়ায় মোটা জাতের ধানের দাম কমেছে মণ প্রতি ৫০-৬০ টাকা। আর চিকন জাতের ধানের দাম কমেছে মণপ্রতি ৩০ টাকা।

আড়ৎদারদের গুদামে মজুদকরা চাল বাজারে সরবরাহ করায় চালের দাম প্রতি মণে কমেছে ১০০-১৫০ টাকা

নওগাঁ জেলা চাল কল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘জেলায় গত আমন মৌসুমের তুলনায় চলতি বছর ধান কম উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু কৃষি বিভাগ ঘরে বসে বাম্পার ফলনের তথ্য দিচ্ছে। ফলে সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। আর এর অপবাদ দেওয়া হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। সরকারের কাছে মাঠ পর্যয়ের সঠিক তথ্য গেলে আগে থেকে বাজার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে পারতো।’

নওগাঁ জেলা চাল কল মালিক গ্রুপের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক সিন্ডিকেট করে চালের দাড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে চাল আমদানি ঘোষণা আসার পর মিলাররা বাজার থেকে ধান কেনা বন্ধ ও মজুদ করা চাল বাজারে ছেড়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।

প্রতি বছর নওগাঁয় ১৬ লাখ মেট্রিকটন চাল উৎপাদন হয়। কিন্তু কৃত্রিম সংকটের কারণে দফায় দফায় চালের দাম বেড়ে যায়। ফলে বিপাকে পড়তে হয় খেটে খাওয়া সাধারন মানুষদের।

সচেতন মহলের দাবি, সংশ্লিষ্টরা বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনও ভূমিকা পালন করতে পারছে না। জেলার কয়েকজন ধান-চাল মিলার ও ব্যবসায়ীরা মজুদ করে বাজারে চালের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর