বাংলাদেশে নতুন মাদক হিসেবে নিউ সাইকোঅ্যাক্টিভ সাবসটেনসেস (এনপিএস বা খাট) যুক্ত হয়েছে। যদিও এখনও তা ব্যপক বিস্তৃতি লাভ করতে পারেনি। তবে এদেশে ‘খাট’ আমদানির পেছনে দুই ব্যক্তি জড়িত বলে জানতে পেরেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) গোয়েন্দারা।
ডিএনসি’র সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘রাজধানীর শান্তিনগরের নওয়াহিন এন্টারপ্রাইজের অধীনে নাজিম নামে এক ব্যক্তির নামে ‘খাট’র চালান আসে ইথিওপিয়া থেকে। সেখান থেকে মাদক কারবারি জিয়াদ মোহাম্মাদ ইউসুফ ‘খাট’র চালান বাংলাদেশে পাঠায়। গত ৩০ আগস্ট ৮৬০ কেজি খাটসহ নাজিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছে থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে জানতে পেরেছি- বাংলাদেশকে মাদকের রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এখান থেকে নতুন প্যাকেটে করে এসব মাদক যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপে পাচার করা হয়। খাট আমদানির নেপথ্যে ছিল নাজিম। যাকে বাংলাদেশের ‘খাট’র এজেন্ট বলা হচ্ছে।’’
এ বিষয়ে সিআইডি'র অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার রাজীব ফারহান বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ‘খাট’ সংশ্লিষ্ট ৩৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শনাক্ত করা হয়েছে। দেশে এই মাদকের বিস্তৃতি রোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’’
ডিএনসি সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যেক চালানের জন্য নাজিমের ব্যাংকে ৮-৯ হাজার ডলার লেনদেন হয়েছে। এমন লেনদেন হয়েছে দু’বার। এক মাসের মধ্যে নাজিমের কাছে মোট তিন হাজার কেজি খাট পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু প্রথম কয়েকটি চালান আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পরে। আর এ তথ্য ইথিওপিয়ার ইউসুফের কাছে পৌঁছে গেছে বলে জানতে পেরেছে গোয়েন্দারা।
আরও জানা গেছে, গত এক মাসে ‘খাট’র ছয়টি চালান জব্দ করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে বাংলাদেশকে টার্গেট করে মাদক না আসলেও, দেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করছে মাদক কারবারিরা। গত ২০ দিনে তিন হাজার ৮১৩ কেজি ‘খাট’ জব্দ এবং ছয় কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়ি থেকে ৩৯৫ কেজি খাটসহ নাজমুল ইসলাম তালুকদার ও মাহবুবুর রহমান পলাশ নামের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।