বেনাপোল বন্দরে সিঅ্যান্ডএফ বিক্ষোভে আমদানি-রফতানি বন্ধ

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর) | 2023-09-01 09:43:22

বেনাপোল বন্দরে চোরাচালানে সহযোগীতার অভিযোগ এনে কাস্টমস কর্তৃক এক সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যকে লাঞ্চিত, কার্ড বাতিল ও মামলা প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। তবে এপথে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক আছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১টা থেকে স্টাফ সদস্যরা কর্মবিরতি ডাক দিয়ে কাস্টমস কার্গো শাখার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।

এদিকে কাস্টমসের এমন সিদ্ধান্তকে অযৌতিক দাবি করে সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যরা প্রতিবাদ জানিয়ে কাস্টমস হাউজের সামনে বিক্ষোভ প্রতিবাদ সভা করেছে। চলমান সমস্যার সমাধান হওয়া পর্যন্ত পণ্য খালাস বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।

বন্দরের দুই পারে শত শত ট্রাক পণ্য নিয়ে আটকা পড়েছে। ছবি: বার্তা২৪.কম

ভুক্তভোগী সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্য আক্তারুজ্জামান আক্তার বলেন, গতকাল (বুধবার) রাতে সন্ধ্যায় কয়লার ট্রাকটি যখন ভারতোর পেট্রাপোল বন্দর থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে তখন আমি বর্ডারের কার্গো শাখা থেকে ওই পণ্যের মেনুফেকচার নাম্বার ও ইনভয়েস তুলে বাড়িতে চলে আসি। পরবর্তীতে রাতে কাস্টমস কর্মকর্তারা আমাকে ফোন করে বন্দরের ট্রাক টার্মিনালে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি একটি ট্রাক থেকে ফেনসিডিল ও আমি যে ট্রাকটির কাগজ পত্র তুলি সে ট্রাকটি থেকে ঔষধ উদ্ধার করে। সে সময় কাস্টমস কর্মকর্তার আমার কাছ থেকে কাস্টমস কার্ডটি নিয়ে নেয়। এবং ট্রাকটি ও আমাকে নিয়ে কাস্টমস হাউজের মধ্যে আসে। পরে তারা একটা কাগজে আমার সই নিয়ে কাস্টমস কার্ড সিচ করে নিয়ে রাত ১২টার দিকে আমাকে ছেড়ে দেয়। কাস্টমস কর্মকর্তারা বলে অবৈধ পণ্য আনার অপরাধে আমার নামে মামলা হবে বলে জানান তারা।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার (এডি) ডা. নিয়ামুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি ভারতীয় বৈধ আমদানি পণ্যের ট্রাকের সাথে কিছু অবৈধ মালামাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা বন্দরের ভারতীয় ট্রাক টার্মিনালে অভিযান চলায়। এসময় ভারতীয় তুলার ট্রাক থেকে ২০০ বোতল ফেনসিডিল ও কয়লার ট্রাক থেকে কিছু ভারতীয় ঔষধ উদ্ধার করি। এই কয়লার ট্রাকের বর্ডার ম্যান আক্তারুজ্জামান আক্তারকে আটক করে তার কার্ড সিজ করে নেওয়া হয়েছে। এবং এই কর্মচারি কার্ড সিজ করে নেওয়ার কারণে সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের নেতাকর্মীরা আমদানি রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনয়া নিরাপরাধ কাউকে হয়রানি করা হবে না। এবং ঘটনাটির তদন্ত চলছে বলেও তিনি জানান।

সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, অপরাধ করবে ভারতীয় ট্রাক চালক আর তার দোষ পড়বে সিঅ্যান্ডএফ স্টাফদের উপর। এটা কোন ভাবে গ্রহন যোগ্য না। তবে বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গোশাখার রাজস্ব কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যদের কর্মবিরতিতে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে।

এদিকে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় প্রবেশের অপেক্ষায় বন্দরের দুই পারে শত শত ট্রাক পণ্য নিয়ে আটকা পড়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিল্পকলকারখানার কাচামালসহ খাদ্য সামগ্রী। যদি দ্রুত ট্রাক থেকে পণ্য খালাসের ব্যবস্থা না হয় তবে লোকশানে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর