সেভেন স্টার গ্রুপের সদস্য পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৬

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-28 23:41:51

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী সেভেন স্টার গ্রুপের সদস্য পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের একটি টিম।

গ্রেফতারকৃতরা হলো-বেল্লাল খান, রাকিব খান টিটুল, মো. আ. হান্নান, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. সোহাগ ও মো. খোরশেদ আলম। এ সময় তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহৃত মোবাইল, সিমকার্ড ও নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ওয়ালিদ হোসেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) থেকে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল, তুরাগ ও পল্টন থানা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

এ বিষয়ে মো. ওয়ালিদ হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত চাঁদাবাজ চক্রটি তিনটি গ্রুপে কাজ করতো। তাদের প্রথম গ্রুপের সদস্যরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টেলিফোন গাইড, ডিরেক্টরি বই ও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে নামিদামি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে ফোন নম্বর সংগ্রহ করে। টার্গেটকৃত নম্বরগুলো দ্বিতীয় গ্রুপের সদস্যদের কাছে পাঠায়। এই গ্রুপের সদস্যরা টার্গেটকৃত মোবাইল ও টেলিফোন নম্বরে ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী সেভেন স্টার গ্রুপের সদস্য পরিচয় দিয়ে ফোন করে। তাদের সংগঠনের কয়েকজন সদস্য জেলহাজতে আটক আছে, তাদের জামিন করতে ও সংগঠন পরিচালনার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন বলে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। তাদের দাবিকৃত চাঁদার অর্থ পাঠানোর জন্য বিকাশ, নগদ, রকেট অ্যাকাউন্ট প্রেরণ করে। টাকা না দিলে ভিকটিমসহ তার পরিবারের সদস্যদের অপহরণ ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ভুক্তভোগীরা তাদের ভয়ে বিভিন্ন সময় তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠায়। এই চক্রের তৃতীয় গ্রুপের সদস্যরা তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো টাকা সংগ্রহ করে।

উল্লেখ্য, গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের কাছে চাঁদাবাজির শিকার একজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন যে, ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী সেভেন স্টার গ্রুপের সদস্য মালিবাগের জিসান মাহমুদ হিসেবে পরিচয় দিয়ে সংগঠন পরিচালনার জন্য ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ভিকটিম এই বিষয়টি গুরুত্ব না দিলে চাঁদাবাজরা তাকে বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে ফোন দিয়ে অপহরণ ও হত্যার হুমকি দেয়। ভুক্তভোগী ব্যক্তি ভয়ে তাদের দেওয়া বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে সর্বমোট ৩৫ হাজার টাকা পাঠায়। টাকা পাওয়ার পর চাঁদাবাজরা তার কাছে আরও মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর