ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকায় বাকপ্রতিবন্ধী শিশু সানজিদাকে (৭) হত্যার রহস্য উদঘাটন ও প্রধান অভিযুক্তসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৪।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রামচন্দ্রপুর এলাকার আবুল হাসিম আকন্দের ছেলে ইয়াছিন আকন্দ (১৬) ও তারাকান্দা বাজারের বিকাশ এজেন্ট নিশীথ কুমার সিংহ (৫৭)।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১৪'র ব্যাটালিয়ন সদর কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১৪'র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এফতেখার উদ্দিন।
তিনি বলেন, শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) বাড়ির পাশে একটি জঙ্গলে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধারের পর বিষয়টি নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-১৪। বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয় এবং জড়িত সন্দেহে রাত একটার দিকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে একই বাড়ির আবুল হাশিমের ছেলে ইয়াছিনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, পরে ইয়াছিনকে জিজ্ঞাসাবাদে বেড়িয়ে আসে হত্যার ঘটনা। গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে সুপাড়ি কুড়ানোর নাম করে সানজিদাকে তার বাড়ির পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায় ইয়াছিন ও একই এলাকার আরেক কিশোর শাকিল। একটু পরই বাড়ি যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি শুরু করলে তারা দুজন শিশুটির গলা টিপে ধরে। এতে শ্বাসরোধে মারা যায় সানজিদা। মৃত্যুর পর সেখানেই ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ঘাতকরা।
জানা গেছে, ওইদিন রাতে ঘরের বারান্দায় একটি চিরকুট ফেলে রাখে তারা। সেখানে একটি নাম্বার উল্লেখ করে লেখা ছিল- আপনার মেয়েকে বাঁচাতে চাইলে এই নাম্বারে কল করুন।' তবে সেটি বন্ধ পাওয়া গেলেও পরদিন একটি বিকাশ এজেন্টের নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে তাদের ২০ হাজার টাকা পাঠাতে বলে।
র্যাব-১৪ অধিনায়ক জানান, মূলত টাকার জন্যই ইয়াছিন ও শাকিল মিলে শিশুটিকে অপহরণ করে। কিন্তু কান্নাকাটি করায় অপহরণের পরপরই তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে তারা। পরে ইয়াছিনকে গ্রেফতারের পর তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বিকাশ এজেন্ট নিশীথ কুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পলাতক আরেক ঘাতক শাকিলকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।