ভোলায় বেপরোয়া নৌযান, বাড়ছে দুর্ঘটনা

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ভোলা | 2023-09-01 16:27:03

ভোলায় নৌযানের বেপরোয়া চলাচলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। ফলে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে নৌপথে চলাচল। গত শনিবার রাতে দৌলতখানে একটি লঞ্চ ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের উপর উঠিয়ে দিলে কহিনুর (৪০) নামে এক নারীর পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোলা-ঢাকা নৌরুটের যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। সরকারি নিয়ন নীতির তোয়াক্কা করছে না। মানছে নৌ ট্রাফিক আইন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, যাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার এবং বেপরোয়া চলাচলের কারণে জানমালের ক্ষতি হলেও দোষীরা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যায়। নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার লিখিতভাবে জানানো হলে কোনও প্রতিকার পাওয়া যায় না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে টিপু কোম্পানির এমভি ফারহান নামের ঢাকাগামী লঞ্চ ভোলার আলিমুদ্দিন বাংলাবাজার এলাকায় একটি জেলে নৌকায় ধাক্কা দিলে নৌকাটি ডুবে যায়। ওই দুর্ঘটনায় মিরাজ, কামাল নামের দুই ভাই এবং তাদের ভাতিজা জসিম নিহত হন। এছাড়া ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর তুজমদ্দিন লঞ্চঘাট এলাকায় এমভি ফারহান লঞ্চের ধাক্কায় একটি জেলে ট্রলার ডুবে যায়। এ ঘটনার ৩ দিন পর ওই নৌকায় থাকা আল আমিন (১৯) নামের এক জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গত ১০ ডিসেম্বর ভোলা নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবেদন দেন। তবে দোষীদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভোলা নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান জানান, লঞ্চগুলো অনেক সময়ই নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করে না। এ ধরণের দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তকে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হয়। তবে দোষীদের সনদ ও নৌযানের রুট পারমিট বাতিলের বিধান থাকলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়না।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, যেসব নৌযান বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনায় পড়ে তাদের মালিকদের সাথে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগসাজস থাকে। তাই তাদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবন কর্তৃপক্ষের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, আইনের চোখে সবাই সমান। গত শনিবার দুর্ঘটনায় পা হারানো যাত্রীর বিষয়ে খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। লঞ্চের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা কোনও লিখিত অভিযোগ পান না।

 

 

 

                                                                      

এ সম্পর্কিত আরও খবর