নীলফামারীতে দিগন্ত জুড়ে হলুদের সমারোহ

, জাতীয়

মাহমুদ আল হাসান রাফিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 13:58:17

উত্তরের জেলা নীলফামারীর মাঠে মাঠে দিগন্ত জুড়ে এখন শুধুই হলুদের সমারোহ। প্রকৃতি সেজেছে এক অপরূপ মহিমায়। সরিষার হলুদ ফুলের এই সমারোহ নয়ন জুড়িয়ে দেয়। যেদিকে দু’চোখ যায়, শুধু হলুদ আর হলুদ। সরিষা ক্ষেতের এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য মনকে আবেগে আপ্লুত করে তোলে। চারদিকের সরিষার ফুল থেকে মধু আহরণে ব্যস্ত হাজারো মৌমাছি। চলতি শৈত প্রবাহ উপেক্ষা করে জেলায় সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষকরা ও কৃষি বিভাগ।

আমন ধান কাটার পরে বোরো ধানের চারা রোপনের মধ্যবর্তী সময়টাকে কাজে লাগাতে কৃষকেরা আবাদ করেন লাভজনক দানাদার শষ্য সরিষা। মধ্যবর্তী সময়ে আবাদ করা যায় বলে অনেক কৃষকই সরিষা চাষে উৎসাহী হন। এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষে নিড়ানী, সেচ, সার, কাটা-মাড়াইয়ে খরচ হয় আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। ১০০-১২০দিনে এ ফসলে ঘরে তোলা যায়। আর প্রতি বিঘায় ফলন আসে ৭-৮ মণ, যার বাজার মূল্য ১৬-২০হাজার টাকা।

যেদিকে দু’চোখ যায়, শুধু হলুদ আর হলুদ
Caption

কৃষকদের দাবি, উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে সরিষা চাষে বেশ মুনাফা হয়। আর সরিষার ফুল ও পাতা ঝড়ে পড়ায় জমি বেশ উর্বর হয়। সরিষা কাটার পর ওই জমিতে বোরো ধান আবাদ করলে সারের পরিমান কম লাগে। ফলে উৎপাদন খরচ কমে যায় ও ফলন হয় ভালো।

নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা করলাবেচা পাড়া এলাকার কৃষক মানিক ইসলাম বলেন, ‘আমি তিন বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। আমি কয়েক বছর ধরে সরিষা আবাদ করি। এতে আমার ভালো মুনাফা হয়। সরিষার মুনাফা দিয়ে আমি বোরো ধানের আবাদ করি।’

জেলার ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নের কৃষক হামিদুল ইসলাম জানান, সরিষা চাষে উৎপাদন খরচ কম। বিপরীতে বিঘা প্রতি ফলন হয় ৭-৮ মণ। দুই ফসলের মাঝখানে সরিষা চাষ হওয়ায় এটা বেশ লাভজনক।

নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘এবার নীলফামারী জেলায় সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে বারী-১৪, ১৫, ১৭ ও বীনা জাতের উচ্চ ফলনশীল সরিষা চাষাবাদ হচ্ছে। আমন ও বোরো ধানের মাঝামাঝি সময়ে জমিতে সরিষা, আলুসহ বিভিন্ন জাতের শাক-সবজি চাষ করায় কৃষকরা লাভবান হন। গত বছরের চেয়ে এবছর ১০ হেক্টর বেশী জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবারে সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর