কনকনে শীত, কুয়াশা ও পাশাপাশি হিমেল বাতাসে নওগাঁর গ্রামীণ জনপদের মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। গত কয়েকদিন থেকেই মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মিলছে না। দুপুরের দিকে নিরূত্তাপ সূর্যকে একটু সময়ের জন্য পাওয়া গেলেও তা অস্ত যাবার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাচ্ছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যার পর থেকে কনকনে শীতের সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। এতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
ফলে মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। এতে করে জনজীবন একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে শিশু আর বয়স্করা ঠান্ডা জনিত রোগে ভুগছেন। দূর্ভোগে পড়ছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষেরা। ছিন্নমুল আর অসহায় মানুষেরা পাশাপাশি কর্মজীবী মানুষেরাও পড়েছে দূর্ভোগে।
শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার সন্ধানে ঘর থেকে বের হচ্ছেন মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। যে যার সাধ্য অনুযায়ী নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন গরম কাপড়ে। অনেকেই আবার গরম কাপড় না থাকায় হালকা কাপড়েই বেড়িয়ে পড়েছেন কাজের সন্ধানে।
অনেকে আবার খড়কুটা জ্বালানোরা পাশাপাশি আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন।
সদর উপজেলার শৈলগাছী ইউনিয়নের মোস্তফা জানান, প্রচুর ঠান্ডা পড়েছে গরু ছাগলকে নিয়ে খুব সমস্যায় আছি। মাঠে কাজ করতে যাবো তাও পারছি না। মাঠে কাজ না করলে তো আমার আবার সংসার চলবে না।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া উপকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) নওগাঁয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। তবে এই তাপমাত্রা কখনো কমতে পারে আবার কখনো বাড়তেও পারে বলেও জানানো হয়।