ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে বেক্সিমকোর আমদানি করা করোনার টিকা ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, টিকার প্রতিটি লটের নমুনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। আগামীকাল এই টিকা দিয়েই শুরু হবে করোনাভাইরাসের টিকাদান।
এর আগে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা অক্সফোর্ডের ৫০ লাখ করোনার টিকার চালান এসে পৌঁছায়। টিকা আসার পর বিমানবন্দর থেকে টিকা বেক্সিমকোর টঙ্গীর ওয়্যারহাউজে নেওয়া হয়। টিকা সংরক্ষণের জন্য নতুন করে বিশেষভাবে এই ওয়্যারহাউস তৈরি করা হয়েছে।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, বেক্সিমকো বাণিজ্যিকভাবে কোনো টিকা আনছে না। শুধু সরকারি তালিকায় ওষুধ কোম্পানির নাম না থাকায় শুধু তাদের জন্যই ১০ লাখ ডোজ আনা হচ্ছে। এর বাইরে কেবল বিজেএমইকে দেওয়া হতে পারে। সরকারের নির্দেশনা মেনে ৬৪ জেলায় সরবারহ করবে বেক্সিমকো। কোথাও কোল্ড চেইন ব্রেক হয়নি সেটিও নিশ্চিত করবেন তারা।
গত ২০ জানুয়ারি উপহার হিসেবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে দিয়েছে ভারত সরকার।
প্রসঙ্গত, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পেতে গত ৫ নভেম্বর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বেক্সিমকো ফার্মা ও বাংলাদেশ সরকারের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী প্রথম চালানের ৫০ লাখ ডোজ টিকা আজ আসলো। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে তিন কোটি ভ্যাকসিন পাবে।