‘বিচার কাজ থেকে বিরত তিন বিচারপতির বিষয় সুরাহার পথে’

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 00:14:16

প্রায় ৩ বছর বিচার কাজ থেকে বিরত থেকেও রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন হাইকোর্টের তিনজন বিচারপতি। তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বিষয়টি পরিষ্কার করার দাবি জানান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হক। তার সঙ্গে একমত পোষণ করে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, আমিও তাই মনি করি বিষয়টার সুরাহা হওয়া উচিত। এই বিষয়টা সুরাহা হওয়ার পথে। এই টুক আমি বলতে পারি।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উপস্থাপন করলে সেই প্রস্তাবের ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব করেন বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যগণ। সেই প্রস্তাবের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে মুজিবুল হক কথাগুলো তোলেন। এর জবাবে আইনমন্ত্রী কথাগুলো বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, তিনজন জজকে তাদের ইয়ে দেওয়া হয় না। যদিও সংবিধানে বলা হয় এটা সম্পূর্ণ প্রধান বিচারপতির এখতিয়ার, আমিও মনে করি তাই। তবুও এই বিষয়টা আমার মনে হয়, আমি তার সাথে একমত আমার মনে হয় এই বিষয়টার সুরাহা হওয়া উচিত। এবং আমি আপনার মাধ্যমে সংসদ সদস্যকে বলতে চাই যে এই বিষয়টা সুরাহা হওয়ার পথে। এই টুক আমি বলতে পারি।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক বলেন, মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় আপনি কি একটু বলবেন আমাদের তিনজন বিচারককে আজ থেকে তিন বছর আগে কি কারণে প্রধান বিচারপতি বিচার কাজ থেকে সরিয়ে রেখেছেন। তারা প্রতিমন্ত্রীর স্ট্যাটাস পান, রাষ্ট্রের টাকা নেন, বেতন নেন, গাড়ি নেন তিন বছর তারা কোন বিচার কার্যক্রম করেন না। তাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আছে? না কি? জনগণ জানে না। এই জানার কি ব্যবস্থা। যদি অভিযোগ থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে? ১৬তম সংশোধনী নাই। এখন জুডিশিয়াল কাউন্সিল নাই। কি হবে? তবে জনগণের জানা প্রয়োজন উনারা কি কারণে বিচার কার্যক্রম থেকে দূরে আছেন।

প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, হাইকোর্টের তিনজন বিচারপতির বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধানের প্রেক্ষাপটে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে তাদের বিচারকার্য থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্তের কথা অবহিত করা হয়। পরবর্তীতে তারা ছুটির প্রার্থনা করেন। তিন বিচারপতিকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানোর পর তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেছেন। ওই তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি একেএম জহিরুল হক ও বিচারপতি কাজী রেজাউল হক।

এ সম্পর্কিত আরও খবর