বঙ্গবন্ধু সিটি করার প্রস্তাব

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 18:11:16

পৃথিবীর ১৭১টি দেশে তাদের জাতির পিতা বা প্রতিষ্ঠাতার নামে বিভিন্ন রোড, স্থাপনা বা শহরের নামকরণ করা হয়েছে। আমরা জাতির পিতার নামে তেমন কিছু করতে পারিনি। যদিও বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু সমগ্র বাংলাদেশে। তারপরেও বঙ্গবন্ধু সিটি বা অন্য কোন নামে বা এমন একটি প্রতিষ্ঠান করা হোক যেখানে বিদেশ থেকে আসা মানুষ বা এদেশের মানুষ অথবা নতুন প্রজন্ম ঢুকলেই বুঝতে পারে এই ছিল আমাদের বঙ্গবন্ধু।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম একথা বলেন।

মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সাফল্যের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু শুধুমাত্র একটা উন্নয়নের মেলবন্ধন নয়। পদ্মা সেতু নিয়ে দেশে বিদেশে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র হয়েছিল, সেই ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করে নিজ অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন তার সততা সক্ষমতা আত্মবিশ্বাস চ্যালেঞ্জ ও আত্মনির্ভরতা।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি কানাডার টরেন্টো সুপ্রিম কোর্ট অব জাস্টিস পদ্মা সেতু সংক্রান্ত মামলার রায় দিয়েছেন। সেই রায়ে সেখানেও তারা বলেছেন পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ আনা হয়েছিল, সেটা ছিল সম্পূর্ণরূপে কল্পনাপ্রসূত, বানোয়াট অসত্য। এই পদ্মাসেতু প্রসঙ্গে বাংলাদেশের কিছু সুশীল একজন এনজিও কর্মকর্তা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া যে চরম অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছিলেন এবং তারা নানাভাবে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন। সততার সাথে সাহসের সাথে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রমাণ করেছেন তাদের সকল অপচেষ্টা নসাৎ হয়েছে। সততার জয় হয়েছে, বঙ্গবন্ধু কন্যার জয় হয়েছে, বাংলাদেশের জয় হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫ এ নাগরিকের মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে। অধিকাংশ সময় সেটা সংবিধানের ভেতর সীমাবদ্ধ থাকত। প্রধানমন্ত্রী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা অব্যাহত রেখেছেন। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭ (ক) স্থাপনের মধ্য দিয়ে অসাংবিধানিক উপায়ে যারা ক্ষমতা দখল করার অপচেষ্টায় বিভিন্ন সময় স্বপ্নে বিভোর হন তাদের সেই স্বপ্নকে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে কোন ব্যক্তি শক্তি প্রদর্শন বা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বা অসাংবিধানিক পন্থায় সংবিধানকে লঙ্ঘন করা বা রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা অথবা অনুরূপ কোন কাজ করলে তাদের রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হবে এবং সর্বোচ্চ দণ্ড হবে মৃত্যুদণ্ড।

মন্ত্রী আরও বলেন, সংবিধানের ৫ম সংশোধনী মামলায় সর্বোচ্চ আদালত অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করায় খন্দকার মোস্তাক, আবু সাদাত মো. সায়েম এবং জেনারেল জিয়াকে স্পষ্টভাবে বলেছিলেন তারা ক্ষমতায় আসীন হবার জন্য কোন আইনগত অধিকার ছিল না। ১৯৭৫-১৯৭৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে কোন সংসদ ছিল না। তাদের কৃতকর্ম ক্ষমতা দখল ছিল রাষ্ট্রদ্রোহিতা। দেশের সর্বোচ্চ আদালত জিয়া-মোস্তাক এবং সায়েমদের রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে অভিযুক্ত করে ৫ম সংশোধনী মামলায় রায় দিয়েছিলেন এবং তাদের সকল কৃতকর্মকে অবৈধ ঘোষণা করেছিলেন। যেটা হাইকোর্ট বিভাগের রায় আপিল বিভাগে বহাল রয়েছে। খন্দকার মোস্তাক জিয়াউর রহমান এবং সায়েম ক্ষমতা দখল করা এবং তাদের কৃত সকল কর্ম সর্বোচ্চ আদালত বলেছে সংবিধান বর্হিভূত ছিল। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা জবরদখল করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতা কাজ করে অপরাধ করেছিলেন। সে কারণেই হয়তো সংবিধানে ৭ অনুচ্ছেদের ৫ উপ অনুচ্ছেদের সংশোধন অনিবার্যতা দেখা দিয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর