করোনার টিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) প্রথম টিকা নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে দ্বিতীয় দিনের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও মুগদা জেনারেল হাসপাতালে মোট ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
বিএসএমএমইউ এর কনভেনশন সেন্টারে সকাল ৯টায় টিকা নেন ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
টিকা নেয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, টিকা নেওয়াটা আমার সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত দায়িত্ব। আমাকে দেখে মানুষ আস্থা পাবে, সাহস পাবে। এখানে আজ অনেক লোক জড়ো হয়েছেন। গতকাল পর্যন্ত মানুষের মনে সংশয় ছিল টিকা নেবেন কিনা। এটা কেটে যেতে শুরু করেছে। আমরা এটাই চাই, আমাদের দেখে মানুষ আস্থা পাক।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০ জন টিকা নেবেন। এখানে টিকা দেওয়ার আটটি বুথ, পোস্ট কোভিড ওয়েটিং রুম, টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণের জন্য চিকিৎসকদের দুটি টিম, চারটি এইচডিইউ (হাইডিপেডেন্সি ইউনিট), চারটি বেডসহ আইসিইউ (ইনটেনসিভ কেয়ার) ইউনিট, দুটি অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে দেশে টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন পেশার ২৬ জনকে টিকা প্রয়োগ করা হয়।
প্রথম টিকা নেন রুনু ভেরোনিকা কস্তা। এরপর পর্যায়ক্রমে টিকা নেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আহমেদ লুৎফুল মোবেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা, ট্রাফিক পুলিশ মো. দিদারুল ইসলাম ও ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ।