নির্বাচনে আস্থা ফেরানোর আহ্বান আনিসুল ইসলামের

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 22:03:08

নির্বাচন ব্যবস্থায় আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ভোটারের অংশগ্রহণ ২৪ শতাংশে নেমে আসছে। এই যে মানুষের অনিহা, এটা গণতন্ত্রের জন্য ভালো না। আমরা যখন স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনার কথা বলি সেই চেতনার সবচেয়ে শক্তিশালী স্তম্ভ হচ্ছে গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্র নির্বাচন ছাড়া হতে পারে না।

সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, আইনের শাসনকে যদি সত্যিকারভাবে প্রতিষ্ঠা করতে না পারি এদেশে উন্নয়নের ধারা ধরে রাখা যাবে না। পাপুল আমাদের একজন সংসদ সদস্য তাকে কুয়েতে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশের টাকা তো ওখানে এমনি চলে যায়নি। বাংলাদেশ থেকে গেছে কই কিভাবে গেল কারা নিল এই তদন্তগুলো হচ্ছে না।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি সাগর রুনির হত্যা মামলা। পত্রিকায় কিছুদিন লেখালেখি হয় তারপর আমরা ভুলে যাই। আইনের শাসন আইন থাকলে হবে না। আইনের প্রয়োগ মানুষকে করতে হবে। আমি যদি অন্যায় করি আমার শাস্তি যদি মানুষ না দেখে তাহলে অন্যায় বন্ধ হবে না। সেই জিনিসগুলো চিন্তাভাবনা করতে হবে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোটারের অংশগ্রহণ ২৪ শতাংশে নেমে আসছে। এই যে মানুষের অনিহা এটা গণতন্ত্রের জন্য ভালো না। আমরা যখন স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনার কথা বলি সেই চেতনার সবচেয়ে শক্তিশালী স্তম্ভ হচ্ছে গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্র নির্বাচন ছাড়া হতে পারে না। আজকে এই নির্বাচনের বিশ্বাসস্থতা নেই। এইটা যদি সৃষ্টি করতে না পারেন আমেরিকায় কি দেখতে পাচ্ছেন? যুক্তরাষ্ট্রে দেখেছি সেদিন একটা সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু একজন ট্রাম্প মিথ্যাচারের মধ্য দিয়ে তার বিশ্বস্থতা কেড়ে নিয়েছে। সেই বিশ্বস্থতা না থাকার কারণে আজকে প্রশ্ন উঠেছে বাইডেন বৈধ কি অবৈধ। ভালো নির্বাচন কিন্তু অর্ধেক মানুষ বিশ্বাস করছে না প্রপাগান্ডার কারণে। সুতরাং বিশ্বাস্থতার সঙ্গে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ভোটার উপস্থিতির সাথে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা এগুলো ফেরাতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন নতুন সংবিধান দিলেন তিনি নির্বাচন না দিলেও পারতেন তখন। কেউ তো নির্বাচন চায়নি। তারপরেও তিনি নির্বাচন দিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন গণতন্ত্র তাই সেদিন নির্বাচন দিয়েছেন। এই প্রশ্ন তো উঠেছে। আগামী ৫ বছর ১০ বছরের কথা চিন্তা করলে হবে না। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করতে হবে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো। নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কেন? নির্বাচন কমিশনের সাথে নির্বাচন অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। এজন্য একান্তভাবে দেখা উচিত। আমরা যদি সেটা করতে না পারি তাহলে আমি বলবো আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে কাজগুলো করে যাচ্ছেন যে উন্নয়ন হচ্ছে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আমাকে চিন্তা করতে হবে ১০ বছর পরে কি হবে ১৫ বছর পরে কি হবে। তাই আমি বলবো আমাদের নির্বাচনের ব্যাপারটা প্রকৃতপক্ষে ভালো করে দেখা উচিত।

তিনি আরও বলেন, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা এটার ওপর বেশি জোড় দিতে হবে। চতুর্থ স্তম্ভ বলে। গণতন্ত্রের আরও একটা স্তম্ভ। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা যদি নিশ্চিত করতে না পারি এটা দেশের জন্য যেমন ভালো না সরকারের জন্যও ভালো না। সংবাদপত্রে একবার এরশাদ সাহেবকে নিয়ে একটা কার্টুন হয়েছিল এবং কার্টুনটা হওয়ার পর একসময় আমাদের একটা রেওয়াজ ছিল পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া। এই সংবাদ বন্ধ করে দেওয়ার কথা উঠেছিল। আমি তখন অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তথ্যমন্ত্রী ছিলাম। এরশাদ সাহেব আমাকে বলেছিল এটা কর। কারণ যেভাবে আঁকা হয়েছিল সেটা ভালো না। কিন্তু আমি তাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলাম যে এটা করবেন না। এটা করলে দীর্ঘমেয়াদি কারো ভালো হবে না। আপনার জন্যও হবে না দেশের জন্যও হবে না।

এ সম্পর্কিত আরও খবর