দেশে করোনা টিকাদান কর্মসূচি আওতায় সাত দিনে এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ৯ লাখ ৬ হাজার ৩৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৬ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জন এবং নারী ২ লাখ ৭৯ হাজার ৫৬৪ জন। এছাড়া সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে মোট ৪২৬ জনের মধ্যে।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট এক লাখ ৬৯ হাজার ৩৫৩ জন টিকা নিয়েছেন। রমধ্যে ঢাকা বিভাগে নিয়েছেন ৪৫ হাজার ৯৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে সাত হাজার ৩৫৭ জন, খুলনা বিভাগে ১৯ হাজার ৮০২ জন, বরিশাল বিভাগে ৯ হাজার ১৯৮ জন, সিলেট বিভাগে ১৩ হাজার ১৯৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৯ হাজার ৭০৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৮ হাজার ৯৬৫ জন ও রংপুর বিভাগে ১৫ হাজার ২১৮ জন।
অপরদিকে, ঢাকা মহানগরীর ৪৬টি হাসপাতালে রোববার টিকা নিয়েছেন ২২ হাজার ৯৮২ জন। এরমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি এক হাজার ৩২৪ জন টিকা নিয়েছেন। এদের মধ্যে মাত্র ৩২ জনের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
এর আগে শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক লাখ ৯৪ হাজার ৩৭১ জন টিকা নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালসহ সারা দেশের এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকা দেয়া হচ্ছে। গণ হারে টিকাদানের প্রথম দিন ৭ ফেব্রুয়ারি মোট ৩১ হাজার ১৬০ জনকে টিকা দেয়া হয় বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল।
বর্তমানে বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ৭০ লাখ ডোজ রয়েছে এবং করোনার টিকা নিতে চাইলে www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, প্রতি মাসে ভারত থেকে ৫০ লাখ টিকা আমদানির বাইরেও বাংলাদেশের সামনে সুযোগ তৈরি হয়েছে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে টিকা পাওয়ার। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে সরকার দেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ তথা ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০৮ জন মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করেছে। প্রতিজনকে দেওা হবে দুই ডোজ টিকা।