পেছনের চাকাতেই নিরাপদে নামলো ১৬৪ যাত্রী  

ঢাকা, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 23:36:01

 

শুধুমাত্র পেছনের চাকার ওপর ভর করে অসাধারণভাবে উড়োজাহাজ অবতরণ করিয়ে ১৬৪ জন যাত্রীর জীবন বাঁচিয়েছেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন জাকারিয়া।

বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজটি। কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণের আগ মুহূর্তে পাইলট টের পান উড়োজাহাজের নোজ হুইল (সামনের চাকা) খুলছে না। তখনই তিনি উড়োজাহাজটি ঘুরিয়ে চট্টগ্রামের শাহ আমানাত বিমানবন্দরে অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। কারণ তিনি জানতেন কক্সবাজারে জরুরি অবতরণের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নোজ হুইল না খোলায় পাইলট চট্টগ্রাম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে জরুরি অবতরণের অনুমতি চান। এ ধরনের একটি সমস্যা নিয়েও ক্যাপ্টেন জাকারিয়া ঠাণ্ডা মাথায় বিমানবন্দরের ওপর দিয়ে একাধিকবার চক্কর দেন। এ সময় তিনি উড়োজাহাজের জ্বালানি তেল ফেলে এটিকে হালকা করার চেষ্টা করেন। কারণ তিনি জানেন, উড়োজাহাজের জ্বালানি তেল যত কম থাকবে ততই এতে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কমে যাবে। হালকা থাকলে উড়োজাহাজের বডির সঙ্গে রানওয়ের সংঘর্ষ কম হবে, এতে আগুন লাগার আশঙ্কাও কমে যাবে।

নিজের প্রশিক্ষণ অভিজ্ঞতার আলোকে অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় বৈমানিক এসব পূর্ব সতর্কতার অংশ হিসেবে যেসব কাজ করা প্রয়োজন তা সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি সবার নিরাপত্তার কথা ভেবেই অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে শুধুমাত্র পেছনের চাকার ওপর ভর করে এত বড় উড়োজাহাজটি অবতরণ করান।

যাত্রীদের মনে ভয় থাকলেও শেষ পর্যন্ত সব যাত্রী অক্ষত অবস্থায় উড়োজাহাজ থেকে নেমে আসতে সক্ষম হন। অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে পাইলট এটিকে অবতরণ করানোয় যাত্রীরা বেরিয়ে এসে তার প্রশংসা করেন। উড়োজাহাজটিতে ১১ শিশুসহ ১৬৪ যাত্রী ছিলেন। এছাড়া ক্রু ছিলেন মোট সাতজন।

পাইলট কোনো নিরাপদে উড়োজাহাজ অবতরণ করালেও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের পাঁচটি গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্সসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। এর আগে ওমানের মাস্কাট থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজের ডানপাশের চাকা ফেটে যাওয়া পরেও পাইলট দক্ষতার সঙ্গে নিরাপদে ফ্লাইট অবতরণ করাতে সক্ষম হন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর