ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জন্য আলাদা একটি সেল খোলা হয়েছে: খাদ্যমন্ত্রী

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ | 2023-08-29 23:45:07

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আলাদা একটি সেল খুলেছেন বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

তিনি বলেন, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের কথা চিন্তা করে এখানে একজন ডিরেক্টর থেকে শুধু করে কর্মকর্তা ও কর্মচারীও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী যখন শিক্ষিত হবে তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকার ভিন্ন মন্ত্রণালয় করে দেয়ারও আশা রাখে। তাই আগে তাদের সেভাবেই নিজেদেরকে তৈরি করতে হবে। সেভাবে তৈরি না করে বোকা হয়ে থাকলে আর এনজিওর পিছনে পিছনে ঘুরে মিছিল করলে মন্ত্রণালয় হয় না। এটির যেনো সঠিক পরিকল্পনা দরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তিনি যেভাবে বলেন সেভাবে আপনাদেরকে শিক্ষিত হতে হবে এবং নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার কাতিপুর কালিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে বাস্তবায়নাধীন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি ও শিক্ষা উপকরন বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মুজিববর্ষে এবং বাংলাদেশের ৫০ বছর সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জন্য এই অনুদান পাঠিয়েছেন ৫২টি জেলায়। আশা করি ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জন্য এটি একটি আশীর্বাদ স্বরূপ। এই আশীর্বাদ গ্রহণ করে ক্ষুদ্র নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠী তাদের নিজেদের জীবনমান উন্নত করবে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে আমাদের ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী জীবনমান যে পরিমাণ খারাপ ছিলো তা তারা নিজেরাই অনুমান করতে পারে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন ক্ষমতায় এসেছেন তখন আমাদের এ দেশের উন্নয়ন শুরু হয়েছিলো। কিন্তু তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। তাই তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে আমরা দেখেছি ও যতো মিটিং করেছি আদিবাসীদের এই রকম চেহারা দেখি নাই। আদিবাসীদের ভালো কাপড় পরা দেখি নাই, পায়ে কোনো জুতা ছিলো না, এখন আদিবাসীরা ভালো জামা কাপড় পড়ে, জুতা পরে এবং জীবন মানের উন্নতি হয়েছে।

এ সময় মন্ত্রী আদিবাসী ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন- আজকে তোমরা ভালো জামা কাপড় পরো, স্কুলে-কলেজে যাও, মোবাইল ব্যবহার করো। এই হল জীবন মানের উন্নয়ন। আর সবকিছুই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই। শেখ হাসিনা মানবতার জননী। এই দেশ সকলের দেশ। আমরা সবাই বাঙালি। ভাষা যার যার ধর্ম তার তার। তাই তোমাদেরকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। জীবনকে অবহেলা করলে হবে না। জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

পরে মন্ত্রী সমতল ভূমিতে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায়, ১২০টি পরিবারের মাঝে ১২০টি গরু, ৫টি টিন, ১২০টি ইট, ৪টি খুঁটি ও ৫০দিনের খাদ্য বিতরণ করেন। এছাড়াও প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন।

এর আগে মন্ত্রী উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর