অসুস্থ মেয়ের প্রতি অতিষ্ঠ হয়ে রংপুরের বদরগঞ্জে নামাজরত অবস্থায় পেছন থেকে গলা কেটে হত্যার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন মা নুরনাহার বেগম।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বদরগঞ্জ আমলী আদালতে তিনি এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। পরে বিচারক জাহাঙ্গীর আলম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে বদরগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বুজরুক হাজিপুর গাছুয়াপাড়া থেকে মেরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মেরী (১৮) রামনাথপুর বি ইউ দাখিল মাদরাসার সুপার মেনহাজুল হকের মেয়ে।
আরও পড়ুন: রংপুরে শিক্ষার্থীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
এ ঘটনায় নিহতের জ্যাঠা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে বদরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই মেরীর বাবা-মাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ওই মামলায় মেরীর মা নুরনাহারকে গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার আদালতে পাঠায়। এ সময় মেরি হত্যার ঘটনায় দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন নুরনাহার বেগম।
জবানবন্দিতে তিনি জানান, মেরী দীর্ঘদিন মৃগী রোগসহ নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন। এ কারণে পুরো পরিবারকে বিড়ম্বনায় পড়তে হতো। তাকে বিয়েও দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে তিনি মেয়ে মেরীকে একাধিকবার হত্যার পরিকল্পনা করে ব্যর্থ হয়। পরে শুক্রবার বিকালে নামাজরত অবস্থায় সুযোগ বুঝে পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেরীর গলা কেটে হত্যা করা হয়।
বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় নিহতের জ্যাঠা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় নুরনাহারকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।