মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন ওরফে মিরুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বত্তরা।
অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে সোমবার (০১ মার্চ) দিবাগত রাতে তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে আজ মঙ্গলবার (০২ মার্চ) দুপুরে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহিদ মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিংগাইর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ দুলাল ও ফারুক হোসেনের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল চলে আসছে। এই কোন্দলের জের ধরে দুলাল ও তার বড় ভাই উপজেলা পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন ওরফে আঙ্গুর ফারুক এবং তাদের সহযোগীরা ফারুককে কুপিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় এবং দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক মাস আগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোল্লা মোহাম্মদ দুলাল ও তার সহযোগীরা ফারুক হোসেনকে মারধর করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কোন্দল দেখা দেয়।
সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার জয়মন্টপ এলাকা একটি গানের অনুষ্ঠান থেকে মোটরসাইকেলে করে উপজেলা সদরে বাড়িতে ফিরছিলেন ছাত্রলীগ নেতা ফারুক হোসেন। রাত ১টার দিকে সিংগাইর পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে প্রতিপক্ষের দুলাল ও তার ভাই জালাল মোটরসাইকেলে গতিরোধ করেন। এরপর তারা ফারুককে ধারালো অস্ত্র (চাইনিজ কুড়াল) দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ফারুককে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়। সেখানে আজ দুপুর ১টার দিকে তিনি মারা যান।
সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান বলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে দুলাল ও জালাল চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে ফারুককে হত্যা করে। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।
এ ব্যাপারে আজ দুপুরে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান মোবাইল ফোনে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, কিলিং মিশনে দুটি সিএনজিতে থাকা পৃথক ৬ জন অংশ নেয়। খুনের মোটিভ নিশ্চিত হলেও এখনো কেউ মামলা করেনি। এছাড়া খুনের ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগে কাউকে ধরা সম্ভব হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার রিফাত রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোনে তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কে কে জড়িতদের তদন্ত করে তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।