‘সোলার মিনিগ্রিড এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি অনুপ্রবেশ করছে’

, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-24 23:51:41

সোলার মিনি গ্রিড এলাকায় অন্যান্য বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। আর যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে মিনি গ্রিডের স্থাপনা অধিগ্রহণ করে বিনিয়োগ ফেরত দেওয়া হোক। এমন দাবি জানিয়েছেন সোলার মিনি গ্রিড অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসএমএবি)।

বুধবার (৩ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলনে এমন প্রস্তাব তুলে ধরেন সংগঠনের চেয়ারম্যান ডিএম মজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, আমরা যখন অফগ্রিড এলাকায় (যেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই) সোলার মিনিগ্রিড স্থাপনের করি। তখন অন্যান্য বিতরণকারী সংস্থা থেকে এনওসি গ্রহণ করা হয়। আমরা বিপুল বিনিয়োগ করার পর হঠাৎ করে তারা সেসব এলাকায় সংযোগ প্রদান শুরু করেছে। এতে আমাদের গ্রাহকরা সুইচ করে চলে যাচ্ছে, বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়েছে। ঋণের কিস্তি দিতে পারছি না, স্টাফদের বেতন ভাতা দিতে কষ্ট হচ্ছে। আমরা দিনে দিনে খেলাপি হয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ তার করা সৌর বিদ্যুৎ বাস্তবায়ন উন্নয়ন নির্দেশিকা নিজেই পালন করছে না। আমরা তাদের সকল ছাড়পত্র নিয়ে বিনিয়োগ করেছি। আমরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি, সারাদেশে ২৬টি মিনিগ্রিড এলাকায় ৩৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে, ১৭টি এলাকায় জোরপূর্বক কাজ শুরু করেছে পিডিবি আরইবি। বিগত ১০ বছরে কোনো মুনাফা করতে পারিনি।

সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, সোলার মিনিগ্রিড প্রকল্পে ৫০ শতাংশ অনুদান, এতে ইউনিট প্রতি খরচ পড়ছে ৩০ টাকা। অন্যদিকে ভারতে ৯০ শতাংশ অনুদানে পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের ইকুইটির ওপর ১৫ শতাংশ সুদ, জমি ও মোট প্যাকেজ মূল্য দিয়ে পুরো প্লান্ট কিনে নিলে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। অথবা আইপিপির মতো সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হোক। একইসঙ্গে বিগত দুই বছরে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মিনিগ্রিডের বিদ্যুতের দাম বেশি হওয়ায় শুরু থেকেই বিতর্ক চলে আসছে। যেখানে অন্যান্য বিদ্যুতের দাম ১০ টাকার নিচে প্রান্তিক জনগোষ্ঠি কেনো এতো উচ্চ দরে কিনবে? এমন প্রশ্নের জবাবে সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ বলেন, আমরাও এই বৈষম্য চাই না। সরকার চাইলে রেন্টাল কুইক রেন্টালের ফরমেটে বিদ্যুৎ কিনে সরবরাহ করতে পারে। সেখানেও বেশি দরে বিদ্যুৎ কিনে কম দরে জনগণকে দিচ্ছে। আমরা যখন সেখানে গিয়েছি তখন বিতরণ কোম্পানিগুলোর সক্ষমতা ছিল না। সেটি বিবেচনায় নেওয়া উচিত। আবার একই জায়গায় বিনিয়োগের ওভারল্যাপ করার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না।

সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক রণদেশ দাশ গুপ্ত।

এ সম্পর্কিত আরও খবর