কর্মকেই প্রাধান্য দিয়েছেন সফল এই নারী কর্মকর্তারা

, জাতীয়

সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী | 2023-08-10 19:11:45

নারী কিংবা পুরুষ নয় কর্মকেই প্রাধান্য দিয়ে স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে সফল রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দফতরে কর্মরত চার নারী কর্মকর্তা। সফলতার সাথেই পরিচালনা করছেন তাদের দফতর।

সফল এই চার নারী কর্মকর্তারা হলেন- বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোছা. নাসরিন সুলতানা, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা হাসিনা ফাহমিদা বানু, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফরোজ জেসমিন ও উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর খায়রুন নাহার।

সোমবার (৮ মার্চ) বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে বার্তা২৪.কম’র সাথে কথা হয় এই নারী কর্মকর্তাদের। তারা শোনান তাদের সফলতার বিভিন্ন গল্প।

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা হাসিনা ফাহমিদা বানু বার্তা২৪.কম-কে জানান, ১৯৯৬ সালে প্রথম যোগদান করেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলাতে। প্রথম যোগদান করার পরই তিনি সততার সাথে কাজ শুরু করেন। এরপর সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিভিন্ন উপজেলাতে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন দক্ষতার সাথে। দীর্ঘ ২৫ বছর চাকরি জীবনে তিনি নারী না পুরুষ তা কখনো চিন্তা করেননি। কাজকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।

চাকরি জীবনে তিনি ঢাকা বিভাগের যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মধ্যে যত উপজেলা রয়েছে তার মধ্যে তিনি উপজেলার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন। তাছাড়াও সারা দেশের মধ্যে ১০ জন কর্মকর্তাকে যুব উন্নয়ন অধিদফতরের ডিজি ‘থ্যাংকস লিটার’ দিয়েছেন। সেরা ১০ জনের মধ্যে তিনিও রয়েছেন।

এই নারী কর্মকর্তা আরও বলেন, চাকরি জীবনে কখনো দুর্নীতি করি নাই, কাউকে করতেও দেইনি। বাকি জীবনেও কোন দুর্নীতির সাথে আপোষ করবো না। তার দফতরের সকলেই তাকে ‘মহিলা ফাইটার’ হিসেবেই চেনেন বলেও তিনি জানান।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, নারী পুরুষ বুঝি না। কাজ করার কথা কাজ করি। চাকরির নিয়োগ বোর্ডে আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল- আপনি তো মেয়ে মানুষ। এই পদে নিয়োগ পেলে তো আপনাকে মাঠে-ঘাটে যেতে হবে। আপনি কি সেটা পারবেন? উত্তরে বলেছিলাম- মেয়ে-পুরুষ বুঝি না। আমি আমার ওপরে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করার সর্বত্র চেষ্টা করবো। আমি এখন তা করছি। ২০০৬ সালে প্রথম যোগদান করার পর থেকে এখন পর্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করছি।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফরোজা জেসমিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কখনো পিছ পা হয়নি। নারী হিসেবে নিজেকে ভাবি না। আমি আমার কাজকেই সবার সামনে রাখি। ২০১৪ সালে আমি প্রথম ভোলা জেলাতে যোগদান করি। ভোলা একটা দ্বীপ এলাকা। সেখানেও আমি দক্ষতার সাথে কাজ করেছি এবং একই সাথে দৌলতখান উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছি।

উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর খায়রুন নাহার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ২০০৪ সালে প্রথম উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে গোয়ালন্দে যোগদান করি। এখন পর্যন্ত কোন সমস্যার সম্মুখিন হয়নি। বরং পুরুষ সহকর্মীরা যেটা পারছে না সেটা আমি দক্ষতার সাথে করছি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর