মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিনী আর নেই

, জাতীয়

সেন্ট্রাল ডেস্ক ৪ | 2023-08-29 08:59:29

মুক্তিযোদ্ধা-ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী (৭০) আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় রাজধানীর বেসরকারি ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ল্যাব এইড হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক সাইফুর রহমান গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, খ্যাতিমান মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট-সিসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা গেছেন। জানা গেছে, ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী হৃদরোগের পাশাপাশি ডায়াবেটিস ও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। গত নভেম্বরে নিজের বাসায় বাথরুমে পড়ে গোড়ালিতে চোট পান ৭০ বছর বয়সী এ মুক্তিযোদ্ধা-ভাস্কর। এরপর তাকে ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়-বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত ১১ ডিসেম্বর এক অস্ত্রোপচারের পর তার একটি হার্ট অ্যাটাক হয়, পরে দেখা দেয় ইউরিন ইনফেকশন। এরপর ভাস্কর প্রিয়ভাষিণীকে বিএসএমএমইউর সিসিইউ থেকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র-আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে ২০ ডিসেম্বর চিকিৎসা শেষে অনেকটা সুস্থ হয়ে তিনি বাসায় ফিরেন। এর ৮৩ দিনের মাথায় অসুস্থ হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তাঁর শিল্পকর্ম বেশ জনপ্রিয়। মূলত ঘর সাজানো এবং নিজেকে সাজানোর জন্য দামী জিনিসের পরিবর্তে সহজলভ্য জিনিস দিয়ে কিভাবে সাজানো যায় তার সন্ধান করা থেকেই তাঁর শিল্পচর্চার শুরু। নিম্ন আয়ের মানুষেরা কিভাবে অল্প খরচে সুন্দরভাবে ঘর সাজাতে পারে সে বিষয়গুলো তিনি দেখিয়েছেন। ঝরা পাতা, মরা ডাল, গাছের গুড়ি দিয়েই মূলত তিনি গৃহের নানা শিল্প কর্মে তৈরি করতেন। ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণীর জন্ম ১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি, খুলনায় নানার বাড়িতে। তাঁর বাবার নাম সৈয়দ মাহবুবুল হক এবং মায়ের নাম রওশন হাসিনা।বাবা-মায়ের ১১ সন্তানের মধ্যে প্রিয়ভাষিণী সবার বড়। ১৯৬৩ সালে প্রথম বিয়ে করেন। পরে ১৯৭২ সালে প্রিয়ভাষিণী দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। তাঁর দ্বিতীয় স্বামী আহসান উল্লাহ আহমেদ ছিলেন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা। তাঁর ছয় সন্তান। তিন ছেলে ও তিন মেয়ে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর