জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সংকট মোকাবিলায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অন্তর্ভূক্তিকরণ ক্যাটাগরিতে “বাংলাদেশ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড-২০২১” পেয়েছে “বনায়ন”। সম্প্রতি এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম। এবার পুরস্কারের তৃতীয় সংস্করণে ১৪টি প্রধান ক্যাটাগরি ও ১২টি সাব-ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
দেশে মোট ভূখণ্ডের ২৫ শতাংশ সবুজায়ন নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি “বনায়ন” সহযোগী হিসেবে কাজ করছে, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-১৫), “লাইফ অন ল্যান্ড” এর অন্যতম সূচক।
প্রতি বছর “বনায়ন” প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০ লাখ গাছের চারা সারাদেশে বিতরণ করা হয়ে থাকে। এমনকি করোনা মহামারির সময়েও “বনাqন”-এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অব্যাহত ছিল। এ সময় “বনায়ন” ৪০ বছর পূর্তি উদযাপন করে।
গত ৪০ বছর ধরে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১১ কোটিরও বেশি ফলজ, ঔষুধি ও বৃক্ষ জাতীয় গাছ বিতরণ করা হয় যা থেকে প্রতিবছর ৩০ হাজারের বেশি মানুষ উপকৃত হয়। একটি স্বনামধন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান এর রিপোর্ট অনুসারে, “বনায়ন” প্রকল্প পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি সুবিধাভোগীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করছে।
সবুজায়নে অসাধারণ অবদান রাখায় “বনায়ন” কর্মসূচি চারবার “প্রাইম মিনিস্টার’স ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড” এবং এক বার “চিফ অ্যাডভাইজর ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড” লাভ করে। পাশাপাশি প্রতিবছর জেলা ও উপজেলা-ভিত্তিক ২০টির বেশি পুরস্কার cvq “বনায়ন” প্রকল্প। এছাড়া এন্টারপ্রাইজ এশিয়ার কাছ থেকে গ্রিন লিডারশিপ বা সবুজ নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসেবে ব্যবসায়খাতে শীর্ষ পুরস্কারের একটি “এশিয়া রেসপন্সিবল এন্ট্রাপ্রেনারশিপ অ্যাওয়ার্ড” ও লাভ করে “বনায়ন” কর্মসূচি।
“বনায়ন” এর আওতায় লালন শাহ সেতু, হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, লামা আলিকদম মহাসড়ক, রোহিঙ্গা ক্যাম্প, মিরিঞ্জা পয়েন্ট-লামা, কুষ্টিয়া-যশোর মহাসড়ক, জিকে প্রকল্প, যমুনা সেতু, কুষ্টিয়া বাইপাস সহ বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সবুজায়ন প্রকল্প রয়েছে।