আগামী ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের জন্য অবরুদ্ধ (লকডাউন) ঘোষণা করেছে সরকার।
এমন খবর শুনে বরিশাল থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য লঞ্চযাত্রীদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার কমতি দেখা গেছে ডেকের যাত্রীদের।
শনিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত এমন চিত্র দেখে গেছে বরিশাল লঞ্চঘাটে নোঙর করা লঞ্চগুলোতে।
এছাড়াও ঝালকাঠি, নলছিটি, দপদপিয়া ও বানারীপাড়া লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় ভিড় ছিলো বলে জানান একাধিক লঞ্চযাত্রী৷
সরেজমিনে দেখা গেছে, বরিশাল লঞ্চঘাটে ঢাকাগামী এমভি সুন্দরবন ১০, পারাবত ১০, কীর্তনখোলা ১০, অ্যাডভেঞ্চার ১, সুরভী ৯ ও মানামী লঞ্চ নোঙ্গর করা ছিলো।
সন্ধ্যার পরপরই অধিকাংশ লঞ্চের কেবিনের পাশাপাশি ডেকের যাত্রীদের পরিপূর্ণ হয়ে যায়। তবে লঞ্চগুলো নির্ধারিত সময়ে বরিশাল লঞ্চঘাট ত্যাগ করে।
আব্দুর রহিম নামে এক যাত্রী বার্তা২৪.কম’কে জানান, দুপুরে হঠাৎ করে লকডাউনের খবর শুনে বিকেলেই তড়িঘড়ি করে উজিরপুর থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে সুন্দরবন ১০ লঞ্চে উঠি।
বরিশালে পরিবারসহ বেড়াতে আসা মো. সোহরাব হোসেন কাইয়ুম নামে আরেক যাত্রী জানান, গত বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে পরিবার সদস্যদের নিয়ে নগরীর কাশিপুর এলাকায় শ্বশুর বাড়ি বেড়া আসি। লকডাউনের কথা শুনে আবার সবাই কে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে মানামী লঞ্চে করে যাচ্ছি।
এমভি সুন্দরবন ১০ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. হারুন অর রশীদ বার্তা২৪.কম’ কে জানান, আগামী ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশে একসপ্তাহের জন্য অবরুদ্ধ (লকডাউন) ঘোষণা করেছে সরকার। এ খবর শুনে ঢাকা যাওয়ার জন্য বরিশাল নদীবন্দরে যাত্রীদের তুলনামূলক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সন্ধ্যার পরপরই বেশিরভাগ কেবিন ও ডেকের যাত্রীদের লঞ্চে উঠে।
তবে সকল যাত্রীদের হ্যান্ডস্যানিটাইজার, মাস্কবিহীনদের মাস্ক বিতরণ ও তাপমাত্রা যন্ত্রদিয়ে শরীরে তাপমাত্রা পরিমাপকসহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে লঞ্চে প্রবেশ করানো হয়েছে। তবে আগাম বুকিং দেয়া কিছু কেবিন যাত্রীদের জন্য নির্ধারিত সময়ে ঢাকা উদ্দেশ্যে বরিশাল ছেড়ে লঞ্চগুলো।
এমভি মানামী লঞ্চের সিনিয়র সুপারভাইজার শাহাদাত হোসেন শুভ বার্তা২৪.কম’কে জানান, যাত্রীদের ভিড় থাকলেও স্বাভাবিকভাবে ডেকের ও কেবিনের যাত্রীদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে লঞ্চে উঠানো হয়েছে। লকডাউনের কথা শুনে কয়েকদিনের তুলনায় আজকে যাত্রীদের তুলনামূলক কয়েকগুণ যাত্রীর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।