চট্টগ্রাম বন্দর তহবিলে ১০ হাজার কোটি টাকা জমার রেকর্ড

চট্টগ্রাম, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 03:03:14

চট্টগ্রাম বন্দরের তহবিলে রয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। দেশের কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে এত বিপুল পরিমাণ রাজস্ব জমার নজির নেই। সরকারি-বেসরকারি ৪২টি সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে এফডিআর, সঞ্চয়ী আমানত এবং বিভিন্ন একাউন্টের চলতি হিসাবে এই টাকা জমা রয়েছে।

এসব আমানতের বিপরীতে প্রতিবছর বড় অংকের সুদ পাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। মূলত বিপুল আয়ের বিপরীতে দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে বড় ধরনের কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় এই টাকা জমতে জমতে এই বিপুল আকার ধারণ করেছে।

জাহাজ ভিড়ানো, পণ্য উঠানামা ও ইয়ার্ড ভাড়া এবং নিজস্ব জমি ভাড়াসহ বিভিন্ন খাত থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দুই হাজার ৭১৭ কোটি টাকা আয় করেছে চট্টগ্রাম বন্দর।

প্রতিবছর আয়ের পরিমাণ দুইশ কোটি টাকা বাড়লেও গত অর্থবছর আয় বেড়েছে তিনশ কোটি টাকা। তবে আয়ের অর্ধেকের বেশি ১ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা খরচ করে করা হয়েছে। বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্প, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ বিভিন্ন খাতে এই অর্থ ব্যয় করা হয়েছে।

ব্যয় বেড়ে যাওয়া কারণ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) কামরুল আমিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগে আয়-ব্যয়ের পর উদ্বৃত্ত টাকা থেকে বিভিন্ন ব্যাংকে আমানত হিসেবে রাখা হলেও এখন সেটি আর সম্ভব হচ্ছে না। বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, বে-টার্মিনালসহ বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন, টার্মিনাল অপারেটর নিয়োগ এবং কি গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ বিভিন্ন ছোট-বড় যন্ত্রপাতি কিনতে আমাদের প্রচুর টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। এসব টাকার যোগান বন্দরের তহবিল থেকেই হচ্ছে।

কিসের ভিত্তিতে ব্যাংকে টাকা আমানত রাখতেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, উদ্ধৃত্ত টাকা থেকে বছরে কি পরিমাণ টাকা জমা রাখতে হবে এমন কোনো বিধি বা নিয়ম নেই। তবে যেখানেই জমা রাখি না কেন, তা বাজেটের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হয়। তাদের গাইডলাইন অনুসরণ করতে হয়।

সাত বছরের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ আয় বেড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আয় হয়েছে ২ হাজার ৭১৭ টাকা, ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৪১৪ টাকা এবং উদ্ধৃত্ত টাকার পরিমাণ ১ হাজার ৩শ’ কোটি টাকা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর