বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি মিশ্রণ খুব জরুরি

, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-21 22:17:26

কার্বন নিউট্রাল মানে কয়লা বিদ্যুৎ থেকে সরে আসার ধারণা সঠিক নয়। বরং অ্যাফোবেডল বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য একটি যথাযথ জ্বালানি মিশ্রণ খুব জরুরি, এতে কয়লাকে বাদ দেওয়া সম্ভব নয়।

রোববার (১১ এপ্রিল) এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার আয়োজিত ভার্চুয়াল সেমিনারে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোমার প্রেসিডেন্সির স্পেশাল এনভয় আবুল কামাল আজাদ এমন মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, কারিগরি এবং অর্থনৈতিকভাবে নিজস্ব কয়লা উন্মুক্ত পদ্ধতিতে আহরণ যথাযথ হলেও বিশেষজ্ঞরা তা রাজনীতিবিদদের কাছে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং কয়লার জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ না পেলে এটার জন্য নিজস্ব অর্থায়ন করতে হবে। আর এই সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে।

ড. আহসান মনসুর বলেন, মোট ক্ষমতার ৫০%, ৩৫% বা তার চেয়ে কম হলেও কয়লা বিদ্যুৎ থেকে সরে আসার সুযোগ নেই। অর্থনীতির প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে আসার জন্য নিজস্ব কয়লা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। অনেক সময় নষ্ট হয়েছে আর নয়। কয়লা ব্যবহারে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নইলে তা আর কখনো ব্যবহার করার সুযোগ থাকবে না।

আবুল কাসেম খান বলেন, কয়লা আমাদের জাতীয় সম্পদ। ১৭ কোটি মানুষের স্বার্থেই এটার উত্তোলন ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আর সেটার জন্য কয়েক লাখ মানুষকে স্থানান্তর ও পুনর্বাসন কোনো সমস্যা নয়। কেননা কেবল কয়লা ও কয়লা বিদ্যুৎ পারে আগামী ৫০ বছর পর্যন্ত জ্বালানি নিরাপত্তা এবং সহনীয় দামে বিদ্যুৎ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে। কেননা যারা কয়লা থেকে সরে আসার কথা বলছে তাদের অর্থনীতির উচ্চমূল্যের জ্বালানি ব্যবহারের সক্ষমতা আছে। আমাদের নেই।

পলিসি রির্সাস ইনটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান মনসুর বলেন, কয়লার বিরুদ্ধে আমাদের সবচেয়ে বড় যুক্তি হচ্ছে আমরা দুষণ করছি খুব সামান্য। তারপরও দুষণ কমাতে আমরা বিনিয়োগ করছি। ফলে আমাদের অ্যাফোডেবল বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য বৈশ্বিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে। প্রয়োজনে কয়লা বিদ্যুতের জন্যও তাদের সাপোর্ট দিতে হবে।

জ্বালানি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নূরুল আলম বলেন, কয়লা বিদ্যুৎ থেকে সরে আসার জন্য আমরা আন্তর্জাতিকভাবে চাপের মুখে আছি। ফলে নতুন পরিকল্পনা কয়লাকে নতুন করে মূল্যায়ন করতে হচ্ছে।

বিপিডিবির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন বলেন, জ্বালানি খরচের বিবেচনায় কয়লা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সাশ্রয়ী। অর্থায়ন ও প্রযুক্তি পাওয়া আগামী দিনে চ্যালেঞ্জ হবে তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু বৈশ্বিক কয়লা ব্যবহার কমে আসার কারণে আগামী তিন চার দশক কয়লার দাম স্থিতিশীল থাকবে। এমনকি তা কমেও আসতে পারে। তাই কীভাবে কয়লা ব্যবহারে থাকা যায় তার কৌশল চূড়ান্ত করতে হবে।

খনি বিশেষজ্ঞ ড. মুশফিকুর রহমান বলেন, ভুল নীতির কারণে বড়পুকুরিয়া থেকে কয়লা উত্তোলন একটি জাতীয় লোকসান। কেননা এটার কারণে খনি মুখে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হয়েছে এবং ওই কেন্দ্রের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখতে গিয়ে প্রতি দিনে ১২০ ডলার ব্যয়ে কয়লা তোলা হচ্ছে। আগামী দিনে এই খরচ আরও বৃদ্ধি পাবে। অথচ আমদানি করা কয়লা পৌঁছাতে খরচ প্রতিটন সার্বেচ্চ ৮৫ ডলার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর