সড়ক-মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও চাপ রয়েছে ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির। এতে করে ঘাট এলাকায় বাড়ছে ভোগান্তি। আধ ঘন্টার নৌরুট পারাপারের জন্য ঘাট এলাকায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা।
এদিকে নৌরুটের ছোট বড় ১৭টি ফেরির মধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে মেরামতে রয়েছে তিনটি ফেরি। যে কারণে সময়ের সঙ্গে পাল্লা বাড়ছে ভোগান্তির মাত্রাও। যাত্রী ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে ব্যক্তিগত ছোট গাড়িগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌরুট পারাপার করছে কর্তৃপক্ষ। এতে করে দীর্ঘ ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক চালকেরা।
সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্পোরেশন আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বার্তা২৪.কম’কে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিকল ফেরিগুলো অল্প সময়ের মধ্যে সচল করতে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ভাসমান মেরামত কারখানা মধুমতিতে পাঠানো হয়েছে।
সবশেষ পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় চার শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও দুই শতাধিক ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি অপেক্ষামাণ রয়েছে। যাত্রী ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে ব্যক্তিগত ছোট গাড়িগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌরুট পারাপার করা হচ্ছে। ছোট গাড়ির চাপ কমে গেলে টার্মিনালে অপেক্ষামাণ ট্রাকগুলো পারাপার করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা আরিচা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও ঘাটমুখী ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির চাপ রয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বাস চলাচল বন্ধ ও ছোট গাড়ির চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মহাসড়ক এলাকায় পুলিশি টহল চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।