‘সরকারের বিরুদ্ধে নয়, আক্রমণগুলো হচ্ছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে’

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া | 2023-08-30 12:14:18

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থাপনায় যারা হামলা করেছে তারা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজত। হেফাজতের অভয়ারণ্যে একই শক্তি এই হামলার সঙ্গে জড়িত। ২০১৩/১৪ সালে যারা দেশকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করেছে তারা একই শক্তি। এরা সরকারের বিরুদ্ধে নয় এই আক্রমণগুলো হচ্ছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। কাজেই বুঝা যাচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। তাদের বিচার অবশ্যই হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন।

সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে হেফাজতের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন ও অন্যান্য স্থাপনা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন মন্ত্রী।

এসময় মন্ত্রী বলেন, একাত্তরের সময় পাক হানাদার বাহিনী যারা বলেছিল আমরা মাটি চাই, মানুষ চাই না। তারা জ্বালাও পোড়াও করে এইভাবেই গ্রামের পর গ্রাম স্টেশন বলেন, বাড়িঘর বলেন সবই জ্বালিয়েছে। এরা কোন শক্তি। আজকেও সেই শক্তি সক্রিয় আছে। তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন কখন চালু হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, দ্রুতই রেলস্টেশন সক্রিয় করার জন্য কাজ চলছে। তবে ঠিক কত সময় লাগতে পারে তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি তিনি। এছাড়াও রেলস্টেশনে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এসময় মন্ত্রীর সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান, পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনসহ রেলওয়ে বিভাগের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হেফাজতের নেতাকর্মীরা। এতে করে সিগন্যালিং ব্যবস্থা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে পূর্বাঞ্চল রেলপথে চলাচলকারী সকল আন্তনগর, কমিউটার ও মেইল ট্রেনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের নির্ধারিত যাত্রাবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। তাণ্ডবে স্টেশনের প্যানেল বোর্ড, সিগনালিং ব্যবস্থা, বুকিং কাউন্টার, স্টেশন মাস্টার কক্ষ, সহকারী স্টেশন মাস্টার কক্ষ, তিতাস বুকিং কাউন্টার, পিসি কাউন্টার, পিসি কক্ষ, সিএনএস কক্ষ ও ভিআইপি অতিথি কক্ষ, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনীর যাত্রীদের বসার কক্ষ, প্রধান সহকারি কক্ষ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী অফিস কক্ষ, আরএমপি কক্ষ, অফিস কক্ষ, চেয়ার টেবিলসহ সব কিছু ব্যাপক ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা করে ধ্বংস করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর