যাতায়াত ব্যবস্থা না করে কারখানা খোলা রাখায় মালিকদের শাস্তি দাবি

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-26 02:17:32

সর্বাত্নক লকডাউনে শ্রমিকদের যাতায়াতের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা না করে লকডাউনের মধ্যে কারখানা খোলা রেখে শ্রমিকদের হয়রানি ও ঝুঁকির মধ্যে ফেলার জন্য দায়ী মালিকদের শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল এবং সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের দফতর সম্পাদক হাসনাত কবির স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল। কিন্তু মুনাফা লোভী পোশাক মালিকদের জোটবদ্ধ চাপের কাছে সরকার নতিস্বীকার করে নিজ ব্যবস্থাপনায় শ্রমিক পরিবহনের ব্যবস্থা এবং কারখানায় স্বাস্থ্যবিধির যথাযথ বাস্তবায়নের শর্তে লকডাউনের মধ্যে পোশাক কারখানা খোলা রাখার অনুমতি দেয়। উৎপাদন এবং রফতানির প্রয়োজন দেখিয়ে শর্ত সাপেক্ষে কারাখানা খোলা রাখার অনুমতি নিয়ে গার্মেন্টস মালিকদের অনেকেই পূর্বের মতই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে শ্রমিকদের যাতায়াতের জন্য কোন পরিবহনের ব্যবস্থা করেননি এবং কার্যকরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

তারা বলেন, পরিবহন ব্যবস্থা ছাড়া শ্রমিকদের নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছাতে একদিকে হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে, অন্যদিকে যাতায়াতে অতিরিক্ত সময় এবং রিকশা ও ভ্যান ভাড়া বাবদ অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। শ্রমিকদেরকে ঝুঁকি ভাতা কিংবা স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে উৎপাদন কাজ চালু রাখতে হচ্ছে। এর ফলে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে পারে। শ্রমিকরা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে শ্রমিকরা অল্প বয়সে কর্মক্ষমতা হারিয়ে সমাজের বোঝায় পরিণত হতে পারে।

নেতৃবৃন্দ, পরিবহনের ব্যবস্থা না করে শ্রমিকদের অতিরিক্ত ঝুঁকি ও হয়রানির মধ্যে ঠেলে দেওয়ার জন্য দায়ী মালিকদের শাস্তি ও ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদেরকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়ে বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উৎপাদনের চাকা সচল রেখেছে যে শ্রমিক তাদের ঝুঁকি ভাতা দিতে হবে এবং ফ্রন্ট লাইনার হিসেবে বিবেচনা করে করোনা পরীক্ষা এবং টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় গতবছরের মত শ্রমিক ছাঁটাই, বেতন-ভাতা কর্তন, নির্যাতনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে প্রতিরোধমূলক শ্রমিক আন্দোলন গড়ে উঠবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর